প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহানের আইনি প্য়াঁচে বাজে ভাবে ফেঁসেছেন মহম্মদ শামি। বড় বিপদে পড়তে পারেন তিনি। সে রকমই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অক্টোবরেই বিশ্বকাপ শুরু। তার আগে মাস তিনেকও বাকি নেই। তার আগেই আইনি জটিলতায় ফেঁসে চাপে পড়ে গিয়েছেন শামি। হতে পারেন গ্রেফতারও।
ভারতের তারকা পেসারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন হাসিন জাহান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট এক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালতকে। যদি তার মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব না হয়, তা হলে স্থগিতাদেশের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে আলিপুর সেশন কোর্ট গ্রেফতারির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারে এবং শামি বিশ্বকাপের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন।
আরও পড়ুন: Ashes 2023: হেডিংলেতে প্রথম দিনেই পড়ল ১৩ উইকেট, ১৯৫ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড
প্রথমে বলা হয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার মহম্মদ শামিকে গ্রেফতার করা হবে না। তাঁর মামলা বিচারাধীন, এখনও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অর্থ হল, স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া। সে ক্ষেত্রে শামিকে গ্রেফতারও করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছেন শামি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। সেই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি পিভি নরসীমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তাঁদের মতে, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ যাদবপুর থানায় শামির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্ত্রী হাসিন জাহান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু হয়েছিল আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে। ২০১৯ সালের ২৯ অগস্ট শামিকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাস ডি'লিডের ঝড়, স্কটিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেল ডাচেরা, গড়ল ইতিহাস
তবে সেই সময়ে শামি আবার দ্বারস্থ হন নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছে। ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত শামির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তার পর চার বছরে সেই মামলা প্রায় কিছুই এগোয়নি। কোনও শুনানিও হয়নি। এর পর হাসিন জাহান ফের কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান রায়ের বিষয়ে। যাতে দ্রুত মামলাটি এগোনো হয়, সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন হাসিন। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে হাসিনকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দেন। শামির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন হাসিন। হাসিনের দাবি, শামি পণের জন্যে জোরাজুরি করতেন। এছাড়াও একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক সফরে যাওয়ার সময় হোটেলের ঘরেই যৌনকর্মীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতেন বলেও অভিযোগ। এমন কী শামি যে নিয়মিত যৌন কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন, সেই মোবাইলও আদালত বাজেয়াপ্ত করেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।