বাংলা নিউজ > ময়দান > সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি সৌরভদের, BCCI-এর মসনদে আরও তিন বছর থাকতে পারবেন মহারাজ

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি সৌরভদের, BCCI-এর মসনদে আরও তিন বছর থাকতে পারবেন মহারাজ

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ। ছবি- পিটিআই (PTI)

বোর্ড কর্তাদের কুলিং অফের নিয়ম বদল নিয়ে BCCI-এর সংবিধান সংশোধনের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত।

বিরাট স্বস্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহর। স্বস্তি পেল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সমস্যার আপাতত সমাধান হল সুপ্রিম কোর্টে। চাইলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহকে যথাক্রমে বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব পদে তিন বছরের পরবর্তী মেয়াদে বহাল থাকার অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট বোর্ড কর্তাদের কুলিং অফের নিয়ম শিথল করার পক্ষে রায় দেয় বুধবারের শুনানিতে। অর্থাৎ বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধনের অনুমতি দেয় আদালত। 

লোধা কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী রচিত বোর্ডের নতুন সংবিধানে রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে ৬ বছর প্রশাসক থাকার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যাওয়ার নিয়ম লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে একটানা (৬+৬) ১২ বছর প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন কোনও বোর্ড কর্তা।

আরও পড়ুন:- ICC T20 Ranking: বিশ্বব়্যাঙ্কিংয়ে বিরাট লাফ কোহলির, সেরা ১০ ব্যাটসম্যান, বোলার ও অল-রাউন্ডারের তালিকায় চোখ রাখুন

অর্থাৎ, রাজ্য সংস্থায় অথবা বিসিসিআইয়ে টানা ২টি মেয়াদে (৩+৩) ৬ বছর দায়িত্ব সামলানের পরে পুনরায় পদে থাকা যাবে না। সেক্ষেত্রে কুলিং অফে যেতে হবে। তবে রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর কাটানোর পরে বিসিসিআইয়ে, অথবা বিসিসিআইয়ে ৬ বছর কাটানোর ঠিক পরেই রাজ্য সংস্থায় আরও ৬ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করতে অসুবিধা রইল না শীর্ষ আদালতের রায়ে।

পুরনো নিয়ম: রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে টানা ৬ বছর কাটিয়ে ফেললে সংশ্লিষ্ট কর্তাকে ৩ বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। তার পরে তিনি পুনরায় আরও একটি মেয়াদে ফিরতে পারবেন রাজ্য সংস্থা অথবা বিসিসিআইয়ে।

নতুন নিয়ম: রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআইয়ে আলাদা আলাদাভাবে একটানা ৬ বছর করে কাটানো যাবে। তার পরে কুলিং অফে যেতে হবে। রাজ্য সংস্থার দায়িত্ব ছেড়েই বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নিতে অসুবিধা নেই।

আরও পড়ুন:- CPL 2022: অর্ধেক লিগ শেষ, পয়েন্ট টেবিলে লাস্টবয় নাইট রাইডার্স, কেমন খেলেছেন নারিন-রাসেলরা? দেখে নিন পারফর্ম্যান্স

উল্লেখ্য, সৌরভ সিএবিতে ৫ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেন। তাই কুলিং অফের আগে বিসিসিআইয়ে তাঁর মেয়াদ ছিল ১ বছরেরও কম সময়। একই কথা প্রযোজ্য জয় শাহর ক্ষেত্রেও। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব নেন ২০১৯ সালে। সুতরাং, চাইলে টানা ২টি মেয়াদে (৩+৩) ৬ বছর তিনি বোর্ড সভাপতির পদে থাকতে পারবেন। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দশ অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকতে বাধা নেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

বন্ধ করুন