করোনার প্রকোপ ইউরোপে বেশ কিছু দেশে কমে আসলেও এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো মহাদেশে এখনও তার প্রভাব অব্যাহত। সেই কারণে এই মহাদেশের দেশগুলিতে বর্তমানেও নানা কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এর জেরেই বছর শেষে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসেজ সিরিজ আয়োজনে ঘোরতর আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই জৈব বলয়ের নিয়মকানুন শিথিল করার কথা জানিয়ে দিয়েছিল। তবে ইংল্যান্ডে নিয়মে ছাড় দেওয়া হলে অস্ট্রেলিয়ার ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অজি সরকারের তরফে বিদেশ থেকে আগমনের ক্ষেত্রে কঠিনতম নিভৃতবাস ও কঠোরভাবে সেই নিয়ম পালন যে বাধ্যতামূলক, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অজি দলের ক্রিকেটাররা নিজেরাই বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরে ১৪ দিনের নিভৃতবাস কাটাচ্ছে। ফলে ইংলিশ ক্রিকেটারদেরও এর ঘেরাটোপ থেকে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।
Sydney Morning Herald-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকা একেবারেই সন্তুষ্ট নন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। ইংলিশ ক্রিকেট মহলে অনেকেই মনে করছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সে দেশের সরকারের ওপর যথেষ্ট প্রভাব নেই এবং পূর্বে ইসিবির সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও, পরিস্থিতির বদলে তেমন কিছুই করতে পারবে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণেই প্রায় ১০ জন ইংলিশ ক্রিকেটার বছরের শেষে অ্যাসেজ সফরে না খেলার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।
শনিবার (২৮ অগস্ট) এক বিবৃতিতে অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানানো হয়েছে আসন্ন ক্রিকেট মরশুম যাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়ে তারা সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে। পাশপাশি ইসিবির সঙ্গেও তারা সফর সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা করছে। ‘আসন্ন অ্যাসেজ সফর, যা গ্রীষ্মের সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে, সুষ্ঠভাবে আয়োজনের জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইসিবি ও অস্ট্রেলিয়ান সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সফরে রূপরেখা তৈরি করতে আমরা বর্তমানে ইসিবির সঙ্গে কথা চালাচ্ছি।’ দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।