তীব্র হতাশা থেকেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার

স্মিত প্যাটেল ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে তিনি সিপিএলে খেলতে নামবেন।

স্মিত প্যাটেল।

২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন স্মিত প্যাটেল। এর পর থকে অনেক লড়াই করে গিয়েছেন, কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার সুযোগই পাননি এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। সেই হতাশা থেকেই শেষ পর্যন্ত অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে বিসিসিআই-এর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও, এখনই ক্রিকেট ব্যাট তুলে রাখছেন না স্মিথ। তিনি বরং বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

স্মিত প্যাটেল ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে তিনি সিপিএলে খেলতে নামবেন। এ ছাড়াও আমেরিকার বিভিন্ন লিগে এর আগে তাঁকে খেলতে দেখা গিয়েছে। তিনি এখানকার গ্রিন কার্ড হোল্ডারও। গুজরাট থেকে তাঁর পরিবার পেনসিলভেনিয়ায় গিয়েছিল। সেখান থেকে এখন ইস্টনে থাকে। সেখানে স্মিতের বাবার ব্যবসা রয়েছে। মেজর লিগ ক্রিকেটে দু'বছর খেলার পর থেকে, বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলার আত্মবিশ্বাস পান বলে জানিয়েছেন স্মিত।

ভারতীয় দলে ঢোকার জন্য স্মিত গুজরাট, ত্রিপুরা, গোয়া এবং বরোদার হয়ে নিয়মিত ঘরোয়া লিগে নিজেকে প্রমাণ করে গিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। যে কারণে, বিসিসিআই-এর থেকে অব্যাহতি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়ালেন স্মিত। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য নতুন একটা ইনিংস। এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনে অন্য রকম একটা সফর হবে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে এতদিন জাতীয় দলের ঢোকার অনেক চেষ্টা করেছি। এর জন্য অনেকগুলো দলের হয়ে  (গুজরাট, ত্রিপুরা, গোয়া এবং বরোদা) ঘরোয়া লিগে খেলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জাতীয় দলের দরজা আমার জন্য খোলেনি।’

এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ‘তবে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমি পেয়েছিলাম। এটা জীবনে বড় প্রাপ্তি। ভাল স্মৃতিগুলো নিয়েই আমি সরে যাচ্ছি। অবসরের চিঠি বিসিসিআই-কে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিসিসিআই-এর সঙ্গে সমস্ত রকম কাজকর্ম শেষ হয়ে গিয়েছে। ভারতের ক্রিকেটার হিসেবে আমার সফর এখানই শেষ হয়ে গেল।’