অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জিতে মাল্টি ফর্ম্যাট উইমেন্স অ্যাশেজ জয়ের আশা জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড। সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দল। সেই সুবাদে ২-১ ব্যবধানে ২০ ওভারের সিরিজ জেতেন নাইটরা।
অস্ট্রেলিয়া একমাত্র টেস্টে জিতে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। পরে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ জিতে আরও ২ পয়েন্ট নিজেদের খাতায় যোগ করে তারা। ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ ২টি টি-২০ ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। সুতরাং, এই মুহূর্তে চলতি উইমেন্স অ্যাশেজে ৬-৪ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
পরবর্তী ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১টি ম্যাচ জিতলেই অস্ট্রেলিয়া ৮ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অজিদের টপকানো সম্ভব হবে ইংল্যান্ডের পক্ষে। তাই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজের খেতাব ধরে রাখতে দরকার শুধু ১টি জয়। অন্যদিকে ইংল্যান্ড যদি ওয়ান ডে সিরিজের ৩টি ম্যাচেই জয় তুলে নেয়, একমাত্র তবেই তারা অ্যাশেজের খেতাব পুনরুদ্ধার করতে পারবে।
শনিবার লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তাদের টানা ৩৬টি আন্তর্জাতিক সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ডে দাঁড়ি টানে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া শেষবার কোনও আন্তর্জাতিক তথা টি-২০ সিরিজ হারে ২০১৭ সালের নভেম্বরে উইমেন্স অ্যাশেজেই। তার পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১টি টি-২০ সিরিজ ড্র করে এবং ১৭টি টি-২০ সিরিজে জয় তুলে নেয় তারা।
২০১৭ সালের নভেম্বরের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া উইমেন্স অ্যাশেজ মিলিয়ে ৫টি টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকে। সেই সময় থেকে তারা ১৩টি ওয়ান ডে সিরিজে হারেনি।
শনিবার লর্ডসে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে। এলিস পেরি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৪ রান করেন। ২৫ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া অ্যালিসা হিলি ১৬, বেথ মুনি ৩২, তালিয়া ম্যাকগ্রা ১০, অ্যাশলেই গার্ডনার ৩২ ও গ্রেস হ্যারিস ২৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি উইকেট নেন ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। ১টি করে উইকেট দখল করেন চার্লি ডিন, লরেন বেল, ড্যানিয়েল গিবসন ও সোফি একলেস্টোন।
বৃষ্টিতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হওয়ার পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১১৯ রানের। ইংল্যান্ড ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অ্যালিস ক্যাপসি ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৪৬ রান করেন। এছাড়া সোফিয়া ডাঙ্কলি ৯, ড্যানি ওয়াট ২৬ ও ন্য়াট সিভার ২৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি উইকেট নেন মেগান শুট। ম্যাচের সেরা হন ক্যাপসি। সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ড্যানি ওয়াট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।