সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ফেসবুক বেশ কিছু বিতর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু এতদিন তাও ক্রমেই বাড়ছিল ইউজার। ব্যতিক্রম গত কয়েক মাস। গত ১৭ বছরে এই প্রথমবার ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পেল ফেসবুকের।
মেটার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ফেসবুকে আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২১-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে প্রায় ৫ লক্ষ দৈনিক ব্যবহারকারী কমেছে। যদিও এতে খুব বিশাল কিছু ফারাক পড়বে না। ফেসবুকের বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৯৩ বিলিয়ন। সুতরাং এতে কোনও প্রভাবই পড়বে না। তবে এটি ফেসবুকের জীবনকালের প্রথম পতন বলা যেতে পারে। এর আগে জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত কমেনি ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ক্রমেই তা বেড়েছে।
দ্য ভার্জ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী কমেছে। এদিকে সেখানেই ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আয় করে। তবে মেটার অন্যান্য অ্যাপ, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীর বৃদ্ধি স্বাভাবিকই ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছর ধরেই কমছে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও ব্যবহারকারীরা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকে বেশি অ্যাকটিভ। ফেসবুকের প্রাইভেসির কারণে অনেকেই সেটি কম ব্যবহার করেন।
বুধবার মেটার ত্রৈমাসিক রিপোর্টে সংস্থার খরচ বৃদ্ধিরও উল্লেখ করা হয়েছে। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। এক ধাক্কায় ২২.৯ শতাংশ কমে গিয়েছে মেটার শেয়ার। এর ফলে সংস্থার মোট ভ্যালুয়েশন প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।
তবে সত্যি বলতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসার দিকে আর মন নেই মার্ক জুকারবার্গের। এই ব্যবসা চালালেও এখন তাঁর পাখির চোখ মেটাভার্স। ঠিক সেই কারণেই গত বছর মূল মালিক সংস্থার নাম ফেসবুক থেকে বদলে মেটা রাখেন তিনি।
সেই মেটাভার্স তৈরিতেই প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে সংস্থা। জুকারবার্গের আশা, আগামিদিনে তাঁর সংস্থাকে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি হিসাবে নয়, একটি মেটাভার্স কোম্পানি হিসাবেই চিনবে বিশ্ববাসী।