গ্রহাণু ও মহাকাশযানের সংঘর্ষ। বিশ্বের প্রথম গ্রহাণু-বিক্ষেপণ প্রযুক্তি পরীক্ষাই লক্ষ্য নাসার। আর সেই উদ্দেশ্যেই বুধবার DART মিশনের সফলের উত্ক্ষেপণ করল NASA ।
পৃথিবীর দিকে যদি কোনওদিন কোনও গ্রহাণু ধেয়ে আসে, তবে তার গতিপথ বদলে দেওয়ার প্রস্তুতিই এই মিশনের উদ্দেশ্য। এই মিশনে দেখা হচ্ছে, বোমা মেরে কীভাবে কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া সম্ভব।
ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট। DART মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এর ভিডিয়োও টুইট করেছে NASA । দেখুন সেই টুইট :
DART মহাকাশযানটি মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এবং নিয়ন্ত্রিত। প্রকল্পটি নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস দ্বারা পরিচালিত।
মিশনের মূল লক্ষ্য ডিমারফস নামক একটি গ্রহাণু। এই দুই অংশ-যুক্ত একটি গ্রহাণুর অংশ। Dimorphos হল একটি ছোট 'মুনলেট' যা Didymos নামে একটি বড় গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। Didymos প্রায় ৭৮০ মিটার জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে Dimorphos ১৬০ মিটার। DART এর লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লক্ষ্যবস্তু গ্রহাণু সিস্টেমটি কোনওভাবেই পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়। মিশনের উদ্দেশ্য হল একটি প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতি প্রদর্শন করা। এটি ভবিষ্যতে কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে কাজে লাগানো যাবে।
আরও পড়ুন : আগামী ২০৬৮ সালে আছড়ে পড়বে এই গ্রহাণু? জবাব দিল নাসা