একটি নির্দিষ্ট সেটিং। সেটি অন থাকলেই নাকি ফোনের SMS ফাঁসের সম্ভাবনা! Realme-র ফোনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনই দাবি তোলেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। সংস্থার বিরুদ্ধে SMS, কল লগ, লোকেশন ডেটা এবং আরও অনেক ইউজার ডেটা সংগ্রহ করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
এরপরেই একটি নয়া আপডেট রিলিজ করেছে রিয়েলমি। তাতে এই 'এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস' আর ডিফল্টভাবে অন থাকছে না। অফ করাই থাকবে।
রিয়েলমির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ রিয়েলমি চিনের সংস্থা। ফলে ডেটা চিনে চলে যাচ্ছে কিনা, তাই নিয়েও জল্পনা উস্কে দিয়েছেন অনেকে। খোদ কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের কানেও এই খবর পৌঁছে যায়। তিনি জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এই বিষয়টির পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
স্মার্টফোন নির্মাতা যদিও জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করা হচ্ছে না বা কোনও নিয়মভঙ্গ করা হচ্ছে না।
টুইটে অভিযোগকারী রিয়েলমি ইউজার জানিয়েছিলেন 'এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস' ফিচারের অধীনে ইউজার ডেটা সংগ্রহের পারমিশন ডিফল্ট হিসাবেই অন করা থাকে। তিনি লিখেছেন, 'ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তাঁদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের ডেটা শেয়ার করানো হচ্ছে। এটি একটি আবশ্যিক পারমিশন, কারণ এটি তো ডিফল্ট হিসাবেই অন করা থাকে। এই ডেটা কি চিনে পাঠানো হচ্ছে?'
সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, এই বর্ধিত সার্ভিসের মাধ্যমে ডিভাইসের ব্যবহার অপ্টিমাইজ করা হয়। এর ফলে গ্রাহকরা আরও ভাল ব্যাটারি লাইফ এবং ফোনের হিট কম হবে।'
এই পরিষেবায় প্রসেস করা সমস্ত ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয়। ব্যবহারকারীর ডিভাইসের মধ্যেই এটি এনক্রিপ্ট করা হয়। ইউজারের হার্ডওয়্যারেই সমস্ত ডেটা সংরক্ষণ করা হয়। অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি নীতি কঠোরভাবে মেনেই পুরোটা করা হয়। এই ডেটা সম্পূর্ণরূপে ডিভাইসের মধ্যেই সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্য কোথাও ভাগ করা বা ক্লাউডে আপলোড করা হয় না। আমরা ইউজারদের গোপনীয়তার উপর খুবই গুরুত্ব দিই। 'এনহ্যান্সড ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসেস' ফিচারটি ইউজারদের প্রয়োজন অনুযায়ী ম্যানুয়ালি চালু বা বন্ধ করা যেতে পারে। সংস্থা সমস্ত স্থানীয় আইন ও নীতি মেনে চলে,' বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে।