জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবার বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এবার সেই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হল লোকসভায়। নিরাপত্তার স্বার্থে বা কোনও পাবলিক এমার্জেন্সি হলে টেলিকম নেটওয়ার্কের অস্থায়ী দখল নিতে পারে কেন্দ্র। লোসকভায় পেশ করা টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২৩ (Telecommunication bill 2023)-এ এই কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিলটি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
ডামাডোলের মধ্যেই বিল পেশ
গত সপ্তাহেই সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিলেন বিরোধীরা। তাই নিয়ে এই দিনও বিক্ষোভ জারি ছিল। কিন্তু সেসব অগ্রাহ্য করেই বিল পেশ হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় টেলিযোগাযোগ বিল ২০২৩ পেশ করলেন।
(আরও পড়ুন: PM uses AI translator Bhashini: বারাণসীতে AI ট্রান্সলেটর ভাষিণী ব্যবহার করলেন মোদী, কী এই নয়া প্রযুক্তি)
কী বলা হয়েছে বিলে?
বিলে বলা হয়েছে, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বা জননিরাপত্তার স্বার্থে, কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দুই পক্ষের বিশেষভাবে অনুমোদিত কোনও কর্মকর্তা, যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে বিজ্ঞপ্তির জারি করে - (ক) অনুমোদিত সংস্থার কাছ থেকে কোনও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বা টেলিকম নেটওয়ার্কের সাময়িক দখল নিতে পারবে...।’
(আরও পড়ুন: Insurance company jobs: বিমা কোম্পানিতে হচ্ছে অ্যাসিসট্যান্ট নিয়োগ! আজ থেকে শুরু আবেদন, কতদিন চলবে?)
বিলটিতে বলা হয়েছে, অ্যাক্রেডিটেশন থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের বার্তাগুলি আটকানো যাবে না। তাদের ট্রান্সমিশন জাতীয় সুরক্ষা ধারার অধীনে নিষিদ্ধ করা হলে তবেই আটকানো যাবে, অন্যথায় নয়। বিলের ভাষায়, ‘কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কাছে স্বীকৃত সংবাদদাতাদের ভারতে প্রকাশিত প্রেস বার্তাগুলিকে আটকানো বা বন্ধ করা হবে না, যদি না তাদের ট্রান্সমিশন উপ-ধারা (২) এর ধারা (ক) এর অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়’।
এছাড়াও বিলে বলা হয়েছে, সরকার জননিরাপত্তার স্বার্থে মানুষের মধ্যে যে কোনও বার্তা চালাচালিতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। এটি সরকারকে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থগিত করার ক্ষমতা দেবে।
তবে একইসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, বার্তাগুলি বেআইনি ইন্টারসেপশন করা হলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং দুই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।
কী বলছে বিরোধীরা?
টেলিকমিউনিকেশন ২০২৩ বিলটি ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ১৮৮৫, ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি অ্যাক্ট ১৯৩৩ এবং টেলিগ্রাফ ওয়্যারস (বেআইনি দখল) অ্যাক্ট, ১৯৫০-কে বদল করতে চায়। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ভারতীয়দের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের। এটি অর্থবিল হিসাবে পেশ করা হয়েছে ফলে রাজ্যসভায় পাশের বাধ্যবাধকতা নেই। এই ভাবেই সহজেই কঠোর আইন পাশ করে নিতে চাইছে কেন্দ্র, এমনটাই দাবি বিরোধীদের।