২১ জুন নির্জলা একাদশী। একে ভীমসেনী বা পাণ্ডব একাদশীও বলা হয়। সমস্ত একাদশীর মধ্যে নির্জলা একাদশীর ব্রতকে সবচেয়ে কঠিন মনে করা হয়। এই একাদশী ব্রত পালন করলে ব্যক্তি পুণ্য লাভ করেন। এ দিন কিছু বিশেষ উপায় করলে জাতকদের মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং জীবনের কষ্ট দূর হয়—
১. একাদশীর দিনে সকালে উঠে ঘর পরিষ্কার করে স্নান করে বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত।
২. অশ্বত্থ গাছে দেবতাদের বাস বলে মনে করা হয়। তাই এদিন অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো উচিত।
৩. একাদশীর দিনে সন্ধেবেলা বাড়ির প্রতিটি অংশে প্রদীপ প্রজ্জ্বিলত করা উচিত। এর ফলে বিষ্ণুর পাশাপাশি লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর ফলে পরিবারে কখনও অর্থাভাব হয় না।
৪. দক্ষিণাবর্তী শঙ্খে গোরুর দুধ দিয়ে বিষ্ণুর অভিষেক করা উচিত একাদশীর দিনে। এর ফলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
৫. একাদশী তিথিতে ভাত খাবেন না। এদিন ভাত খাওয়া শুভ মনে করা হয় না। মনে করা হয় একাদশীর দিনে ভাত খেলে ব্যক্তি সরীসৃপ যোনিতে জন্ম নেয়।