২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিহারে সরকারি-বেসরকারি স্কুল খোলার অনুমতি দিল বিহার সরকারের শিক্ষা বিভাগ। তবে স্কুলে আসতে পারবে শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলে আসতে গেলে লাগবে অভিভাবকদের লিখিত অনুমতি।
শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায় ভিত্তিক স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই স্কুলে আসতে পারবেন ৫০ শতাংশ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী এবং ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে যে সমস্ত স্কুল রয়েছে, সেগুলিই খোলা যেতে পারে। স্কুলে আসার ক্ষেত্রেও ছাড় পাবেন কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত যাবতীয় নিরাপত্তা বিধি সুনিশ্চিত করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। স্কুলের ভিতরে সর্বদা পরে থাকতে হবে ফেসমাস্ক, মূল প্রবেশদ্বারে রাখতে হবে থার্মাল স্ক্রিনিং ব্যবস্থা। এমনকি শ্রেণিকক্ষে সামাজিক সুরক্ষাবিধি মেনে পড়ুয়াদের বসার ব্যবস্থা করাও বাধ্যতামূলক। নিজের নিজের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জলের বোতল নিয়ে আসতে হবে পড়ুয়াদেরই। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনও জিনিস আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
শহুরে অনেক স্কুলই ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিবিএসই-র সিটি কোঅর্ডিনেটর রাজীব রঞ্জন সিন্হা জানিয়েছেন, স্কুল পরিসর প্রত্যেক দিন স্যানিটাইজ করা হবে। পড়ুয়াদের স্কুলে দিয়ে যেতে ও স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিভাবকরাই দায়বদ্ধ থাকবেন।
গুগল ফর্মের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ভার্চুয়াল সম্মতি নিয়েছে বিশপ স্কট বয়েস স্কুল, এমনই জানিয়েছেন, স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপাল আশফাক ইকবাল। এখনই ভার্চুয়াল সম্মতি নেওয়া হলেও, স্কুল খুললে পড়ুয়াদের লিখিত অনুমতিপত্র নিয়ে আসতে হবে। রুটিনের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের স্কুলে আসার সময় নির্দিষ্ট করেছেন তাঁরা।
অভিভাবকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সাক্ষাতে তাঁরা লক্ষ্য করেছেন, আগামী বছরের বোর্ড পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে অনেকেই স্কুলে আসতে ইচ্ছুক। তবে স্কুল খোলার বিষয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল, কলেজ, কোচিং ইনস্টিটিউটগুলি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।