বিশ্বাসের মহোৎসব ছট পুজোর দ্বিতীয় দিন আজ। প্রথম দিন খায়-নাহায় (স্নান ও খাওয়া) থেকে শুরু হয় ছট পুজো। আগামী কাল, অর্থাৎ তৃতীয় দিন অস্ত যাওয়া সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। আবার চতুর্থ ও শেষ দিনে উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। খরনার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে জেনে নিন এখানে—
খরনার মাহাত্ম্য
নির্জলা উপবাস থেকে শুরু হয় খরনার দিন। এই উপবাসে নুন ও চিনি বর্জিত। প্রসাদ হিসেবে গুড়ের পায়েস রান্না করা হয়। কার্তিক মাসের শুক্ল পঞ্চমীতে এই উপবাস রাখা হয়। প্রসাদ হিসেবে কেউ কেউ পায়েসের সঙ্গে একহাতে গড়া লুচি তৈরি করেন, আবার কেউ কেউ রুটি বানান।
খরনায় প্রধানত গুড়ের পায়েসের ভোগ তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও মূলো ও কলাও প্রসাদে অর্পণ করা হয়। সন্ধ্যা বেলা পুজো করে প্রসাদ গ্রহণ করে এবং চাঁদ দেখা যাওয়া পর্যন্ত জল পান করতে চান। এর পর থেকে ৩৬ ঘণ্টার নির্জলা উপবাস শুরু হয়।
৯ নভেম্বর খরনা
এটি ছট পুজোর দ্বিতীয় দিন। কার্তিক শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই ব্রত হয়। এদিন ৬টা ০৩ মিনিটে সূর্যোদয় হয়েছে। সূর্যাস্ত হবে ৫টা ০৪ মিনিটে।
১০ নভেম্বর অস্ত যাওয়া সূর্যকে অর্ঘ্য
এ দিনই ছট পুজো হয়। সন্ধ্যা বেলা সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। এদিন ৬টা ০৩ মিনিটে সূর্যোদয় হয়েছে। সূর্যাস্ত হবে ৫টা ০৩ মিনিটে।
১১ নভেম্বর উদিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়
কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের সপ্তমী তিথিতে ছট পুজোর চতুর্থ ও শেষ দিন। এদিন উজিত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। তার পর পারণ করে ব্রত পূর্ণ করা হয়। এদিন ৬টা ০৪ মিনিটে সূর্যোদয় হয়েছে। সূর্যাস্ত হবে ৫টা ০৩ মিনিটে।