কার্তিক শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে ছট উৎসব পালিত হয়। তবে এটি চতুর্থী তিথি থেকে স্নান এবং খাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এবং সপ্তমী তিথিতে উপবাস ভঙ্গ হয়। লোকবিশ্বাসের মহান উৎসব মহাপর্ব ছট চার দিন ধরে চলে।
চার দিন ধরে চলা এই মহান উৎসবটি সূর্য দেবতার বোন ঊষা, প্রকৃতি, জল, বায়ু এবং ষষ্ঠী মাকে উৎসর্গ করা হয়। বিশেষ করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদনের প্রথা রয়েছে এবং এই প্রথা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। আজও মানুষ ভক্তি ও পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে এটি উদযাপন করে। তাই একে লোকজ বিশ্বাসের মহা উৎসব বলা হয়।
এই বছর ছট উৎসব শুরু হয়েছে আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৩ থেকে। এদিন ব্রতীর নাহয়-খায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ছট উৎসব। ২০ নভেম্বর ঊষা অর্ঘ্য ও পারণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ছট উৎসব।
এই উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সন্ধ্যা অর্ঘ্য। এটি ছট পুজোর গুরুত্বপূর্ণ পর্ব যা তৃতীয় দিনে পড়ে। এই দিনে পরিবারের সকল সদস্যরা ঘাটে যায় এবং অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এই বছর, ছট পুজোর অস্তচলগামী অর্ঘ্য ১৯ নভেম্বর রবিবার দেওয়া হবে। এদিন ফল, ঠেকুয়া, চালের লাড্ডু ইত্যাদি সাজিয়ে কোমর-গভীর জলে প্রদক্ষিণ করে অর্ঘ্য নিবেদনের রীতি রয়েছে।
জেনে নিন, বিভিন্ন শহরে এই সন্ধ্যা অর্ঘ্যের সময়।
দিল্লি: বিকাল ৫টা ২৭ মিনিট
কলকাতা: বিকাল ৫টা
পাটনা: বিকাল ৫টা
চণ্ডীগড়: বিকাল ৫টা ২৫ মিনিট
কানপুর: বিকাল ৫টা ২৮ মিনিট
প্রয়াগরাজ: বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট
হায়দ্রাবাদ: বিকাল ৫টা ৪০ মিনিট
ভোপাল: বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিট
ভাগলপুর: বিকাল ৪টে ৫৪ মিনিট
লখনউ: বিকাল ৪টে ৫২ মিনিট
গয়া: বিকাল ৫টা ২ মিনিট
রাঁচি: বিকাল ৫টা ৫ মিনিট
এই দিন, ভক্তরা সকালে নদীতে স্নান করে এবং তারপরে নতুন পোশাক পরে প্রসাদ গ্রহণ করেন। কুমড়ো, ছোলা ডাল সবজি, চাল ইত্যাদি ছট পুজোর নাহয়-খায় এর প্রসাদ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। সমস্ত প্রসাদ সৈন্ধব লবণ এবং ঘি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। উপবাসকারী প্রসাদ খাওয়ার পর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই সাত্ত্বিক প্রসাদ গ্রহণ করেন।
ছট পুজোর শেষ ও চতুর্থ দিনে অর্থাৎ সপ্তমী তিথিতে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের প্রথা রয়েছে। এই বছর ঊষা অর্ঘ্য ২০ নভেম্বর সোমবার। এই দিনে সূর্যোদয় হবে সকাল ০৬ টা ৪৭ মিনিটে। এর পরে, ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করেন।