আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে বিষ্ণুর উদ্দেশে যোগিনী একাদশী ব্রত রাখা হয়। ৫ জুন, সোমবার এই ব্রত পালিত হবে। বিষ্ণু মানব কল্যাণের জন্য শরীর থেকে পুরুষোত্তম মাসের একাদশী একত্রিত করে মোট ২৬টি একাদশী প্রকট করেন। কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের এই একাদশীর গুণ অনুযায়ী তাদের নামকরণ করা হয়েছে। সমস্ত একাদশী নারায়ণের সমতুল্য ফল দিতে পারে। এই সমস্ত একাদশীর মধ্যে যোগিনী একাদশী ব্যক্তিকে তাঁদের সমস্ত অপযশ, চর্ম রোগ থেকেমুক্ত করে এবং জীবনে সফল করে তুলতে সাহায্য করে। এই একাদশী সম্পর্কে যুধিষ্ঠিরকে এক কাহিনি শুনিয়েছিলেন কৃষ্ণ। যক্ষের রাজা কুবেরের অভিশাপে কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত হয়ে হেমমালী নামক এক যক্ষ মার্কণ্ডেয় ঋষির আশ্রমে এসে পৌঁছয়। যোগবলে তাঁর দুঃখী হওয়ার কারণ জেনে নেন ঋষি। তার পর তাঁকে যোগিনী একাদশী উপবাস করার পরামর্শ দেন। ঋষির আজ্ঞায় যক্ষ সেই একাদশীর উপবাস করে এবং দিব্য শরীর ধারণ করে বৈকুণ্ঠ ধামে গমন করে।
পদ্মপুরাণ অনুযায়ী সমস্ত পাতকের নাশ করে যোগিনী একাদশী। এটি শরীরের সমস্ত আধি-ব্যাধি নষ্ট করে সুন্দর রূপ, গুণ ও যশ প্রদান করে। ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণদের ভোজন করালে যে ফল পাওয়া যায়, তার সমান ফল লাভ সম্ভব এই একাদশী ব্রত করলে। এই একাদশী বড়সড় পাপ নাশ করে দেয় এবং মহান পুণ্য দেয়। এই একাদশীর কাহিনী পড়লে ও শুনলে ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
যোগিনী একাদশীর শুভক্ষণ
একাদশী তিথি শুরু- ৪ জুলাই ২০২১, সন্ধে ৭টা ৫৫ মিনিট।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ৫ জুলাই রাত ১০টা ৩০ মিনিটে।
ব্রত পারণের সময়- ৬ জুলাই সকাল ৫টা ২৯ মিনিট থেকে ৮টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
এদিন বিষ্ণুর আরাধনা করা উচিত। হলুদ বস্ত্র ধারণ করে বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। হলুদ ফুল, পঞ্চামৃত, তুলসী এবং চন্দন অর্পণ করা উচিত নারায়ণকে। এর পর বিষ্ণু সহস্ত্রনামাবলী পাঠ করতে পারেন। এ ছাড়াও ১০৮ বার ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ মন্ত্র জপ করলে সুফল পতে পারেন।