২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গঙ্গা সপ্তমী। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে গঙ্গা সপ্তমী পালিত হয়। গঙ্গা সপ্তমীর দিন ব্রহ্মা দেবের কমণ্ডল থেকে মা গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছিল। গঙ্গা সপ্তমী গঙ্গা জয়ন্তী হিসাবেও পালিত হয়। গঙ্গা দশেরার দিনে মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতারণা করেছিলেন। এবার গঙ্গা সপ্তমীতে ৩ টি শুভ যোগ গুরু পুষ্য যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হয়েছে।
গঙ্গা সপ্তমীর গুরুত্ব: গঙ্গা সপ্তমীর দিনে গঙ্গা সংলগ্ন পবিত্র স্থানে স্নান করলে পুণ্য লাভ হয়। মা গঙ্গার কৃপায় মানুষ সুস্থ হয়, তার পাপ মোচন হয় এবং সে মোক্ষ লাভ করে।
এই বছর গঙ্গা সপ্তমী কেন বিশেষঃ এ বছর গঙ্গা সপ্তমীর দিনে গুরু পুষ্য নক্ষত্র যোগ তৈরি হয়েছে এবং এই দিনেই বৃহস্পতি মেষ রাশিতে উদয় হচ্ছে। গঙ্গা সপ্তমীতে গুরু পুষ্য নক্ষত্র যোগে যে কাজই করুন না কেন, তার ফল চিরস্থায়ী হবে। এতে কোনও ঘাটতি থাকবে না। এই কারণে গুরু পুষ্য নক্ষত্র যোগে গঙ্গা সপ্তমীতে গঙ্গায় স্নান করুন, দান করুন এবং তর্পণ করুন।
গঙ্গা সপ্তমী ২০২৩ শুভ সময় এবং যোগ: বৈশাখ শুক্ল সপ্তমী তিথির সূচনা ২৬ এপ্রিল বুধবার, সকাল ১১.২৭ থেকে, বৈশাখ শুক্ল সপ্তমী তারিখ শেষ হয় ২৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, দুপুর ০১:৩৮ মিনিটে
গঙ্গা পুজোর মুহূর্তঃ ২৭ এপ্রিল, সকাল ১১ টা থেকে ০১ টা ৩৮ পর্যন্ত। গুরু পুষ্য যোগ: ২৭ এপ্রিল, সকাল ০৭:০০ থেকে ২৮ এপ্রিল, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ, অমৃত সিদ্ধি যোগ: গুরু পুষ্য যোগ দিয়ে শুরু এবং শেষ হয়, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ: সারা দিন।
গঙ্গা সপ্তমীতে স্নান ও দান করার উপকারিতা
৩। সম্ভব হলে এদিন গঙ্গাস্নান করুন। রথযাত্রার দিনে গঙ্গাস্নান করলে বহু সংকট মোচন হয়ে যায়।
গঙ্গা সপ্তমীতে গঙ্গায় স্নান করলে মোক্ষ পাওয়া যায়। জীবন-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়।
গঙ্গা সপ্তমীর দিন গঙ্গায় স্নান করে গঙ্গার জল দিয়ে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করুন। এতে পূর্বপুরুষরা খুশি হবে এবং তারাও পাপমুক্ত হবে।
ভগীরথ রাজা সাগরের ৬০ হাজার পুত্রকে উদ্ধারের জন্য মা গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। ভগীরথের ৬০ হাজার পূর্বপুরুষ গঙ্গার স্পর্শে মোক্ষ লাভ করেছিলেন।
গঙ্গা সপ্তমীর দিন গঙ্গায় স্নান করে দান করলে নবায়নযোগ্য পুণ্য লাভ হয়।