২২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের মোক্ষদা একাদশীতে গীতা জয়ন্তী পালিত হবে। গীতায় লেখা বিষয়গুলি হল শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুনের মধ্যে সংলাপ। এটিই একমাত্র গ্রন্থ যা স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। প্রতি বছরই গীতা জয়ন্তী পালিত হয়।
এই দিনে যারা গীতা পাঠ করেন তাদের প্রতিটি কাজ সফল হয়, সুখের পাশাপাশি সমৃদ্ধি আসে।শাস্ত্র অনুসারে, যাদের বাড়িতে শ্রীমদ ভাগবত গীতা গ্রন্থ রাখা আছে তাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, তা না হলে জীবন ঝামেলায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
গীতা পাঠের উপকারিতা
পুরাণ অনুসারে, যে বাড়িতে নিয়মিত গীতা পাঠ করা হয় সেখানে সমৃদ্ধি থাকে। ধর্ম, কর্ম, নীতি, সাফল্য ও সুখের রহস্য লুকিয়ে আছে গীতায়। এটি পড়লে জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
গীতা পাঠের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করেন। গৃহে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস হয়।
গীতা পাঠ করলে মানসিক কষ্ট ও ঘরোয়া ঝামেলা থেকে মুক্তি, প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করার শক্তি পাওয়া যায়। এতে লেখা শ্লোক গুলো একজন মানুষকে বাস্তবের মুখোমুখি করে।
গীতা জয়ন্তীর দিন গীতা পাঠ সহ যজ্ঞ করা হলে বাস্তু দোষ দূর হয়।
নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মৃত্যু পরবর্তীতে জগত এর বন্ধন থেকে আত্মার মুক্তি লাভ হয়।
বাড়িতে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা রাখার নিয়ম
বাড়িতে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা রাখার এবং পাঠ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তবেই পূর্ণ ফল পাওয়া যাবে। এটি একটি অত্যন্ত পবিত্র গ্রন্থ, তাই এটি শুধুমাত্র একটি পরিষ্কার এবং পবিত্র স্থানে রাখুন।
স্নান না করে, নোংরা হাতে বা মাসিকের সময় গীতা স্পর্শ করবেন না। এর ফলে ব্যক্তি পাপ এর ভাগী হয়ে পড়ে এবং মানসিক ও আর্থিক চাপ শুরু হয়।
মাটিতে রেখে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ করবেন না। এর জন্য পুজোর চৌকি বা কাঠের তৈরি স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন। এছাড়াও গীতাকে লাল কাপড়ে বেঁধে রাখুন।
গীতা পাঠ করার জন্য আপনার নিজস্ব ভঙ্গি ব্যবহার করুন। অন্যের আসন গ্রহণ করা উচিত নয়, এতে পুজোর প্রভাব কমে যায়। পাঠ শুরু করার আগে ভগবান গণেশ ও শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করুন।
আপনি দিনের যে কোনও সময় গীতা পাঠ করতে পারেন তবে আপনি যদি একটি অধ্যায় শুরু করে থাকেন তবে তা মাঝপথে ছেড়ে দেবেন না। পুরো অধ্যায় পড়ে তবেই উঠুন।