হরতালিকা তীজে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে, এই দিন বিবাহিত মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ুর জন্য নির্জলা উপবাস পালন করবে। এই উৎসবটি ভগবান শিব এবং পার্বতীর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই দিনে সারা রাত জাগরণ করে গৌরীশঙ্করের পুজো করার রীতি রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, শিবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য মা পার্বতী প্রথম হরতালিকা তীজের উপবাস পালন করেছিলেন।
কথিত আছে এই উপবাসের প্রভাবে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। হরতালিকা তীজের পুজো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, তাই এখন থেকে মহিলাদের পুজোর সামগ্রী সংগ্রহ করা উচিত যাতে পুজোয় কোনও কিছুর অভাব না হয়।
শিবলিঙ্গ তৈরিতে পুকুর বা নদীর পরিষ্কার মাটি ও বালিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
চন্দন, পৈতে, ফুল, নারকেল, গোটা চাল
৫ টি পান, ৫ টি এলাচ, ৫ টি পুজোর সুপারি, ৫ টি লবঙ্গ, ৫ ধরনের ফল
দক্ষিণা, মিষ্টি, ধুতরা ফল
ঘট, পবিত্র করার জন্য তামার পাত্র, দূর্বা, আকন্দ ফুল
ঘি, প্রদীপ, ধূপকাঠি, ধোঁয়া, কর্পূর, ব্রত কথার বই
১৬ প্রকারের পাতা শিবকে নিবেদন করতে হবে - বেলপত্র, তুলসী, জাতিপত্র, সেবন্তিকা, বাঁশ, দেওদার পত্র, চম্পা, কানের, অগস্ত্য, ভৃঙ্গরাজ, ধাতুরা, আম পাতা, অশোক পাতা, পান, কলা পাতা, শমী পাতা।
শৃঙ্গার সামগ্রী - হরতালিকা তিজে শৃঙ্গার বাক্সের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, এতে কুমকুম, মেহেন্দি, বিন্দি, সিঁদুর, কাজল, চুড়ি, চিরুনি, মেহেন্দি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
হরতালিকা তীজের পুজোর সঠিক সময়
হিন্দু ধর্মে, বিবাহিত মহিলাদের জন্য হরতালিকা তীজের উপবাসের অনেক তাৎপর্য রয়েছে। শাস্ত্র মতে প্রদোষে হরতালিকা তীজের পুজো করা শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
হরতালিকা তীজে পুজোর শুভ সময় সকাল ০৬ টা ০৭ মিনিট থেকে ০৮ টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।
যেখানে প্রদোষ কাল এর পুজো সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হবে।