হোলির দিন রঙের আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার সময়। মনের অন্ধকার, দুঃখ কাটিয়ে সকলের সঙ্গে রঙের সৌন্দর্য উপভোগ করার দিন ফাগুনের এই দোল পূর্ণিমা তিথি। তবে মনের মধ্যে কষ্ট, দুঃখ থেকে গেলে কিছুতেই আনন্দে মেতে ওঠা সম্ভব নয়। কিন্তু জ্যোতিষমত বলছে, দোল পূর্ণিমার দিন কয়েকটি টোটকা পালন করলেই কেটে যাতে পারে বহুদিনের সমস্যা। কাটে বাধা, রোগভোগের সমস্যাও। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু টোটকা।
রোগ থেকে মুক্তির টোটকা
যদি বাড়িতে কোনও ব্যক্তি অসুস্থ থআকেন দীর্ঘদিন, তাহলে দোল পূর্ণিমার দিন, একটি লাল গোলাপ ও বাতাশা নিয়ে সেই ব্যক্তির দিকে ৩১ বার ঘুরিয়ে নিন। এরপর বাতাশা ও গোলাপটিকে কোনও দূরবর্তীস্থানে ফেলে আসতে হবে। গোটা পর্ব যাতে কেউ দেখতে না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ধন সম্পত্তি বাড়িয়ে নিতে
দোলের দিন যদি দরিদ্র মানুষকে কিছু দান করা যায়, তাহলে সম্পত্তির পরিমাণ উত্তোরোত্তর বাড়তে পারে। এরফলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি ও শান্তি ক্রমেই বাড়বে বলে মত জ্য়োতিষবিদদের। তাঁদের মতে হোলির দিনে এই দান করতে হবে।
চাকরি নিয়ে টানাটানি?
যদি চাকরি ক্ষেত্রে কোনও সংকট থাকে, বা কর্মক্ষেত্রে বিপদ আসন্ন বোঝেন, তাহলে দোলের দিন সেই সংকট থেকেও মুক্তির একাধিক উপায় রয়েছে। দোলের আগের রাতে হোলিকা দহনের সময় একটি নারকেল অর্পণ করুন। পাবেন কাঙ্খিত ফলাফল।
আর্থিক অনটন ঘোচাতে
বহু শাস্ত্রজ্ঞের মতে, হোলিকা দহনের পুজোতে পান, সুপারি ও নারকেল দিয়ে পুজো সম্পন্ন হলে তাতে মেলে কাঙ্খিত ফলাফল। সঙ্গে দিতে হবে একটি মিষ্টি। এতে সংসারের আর্থিক সংকট কেটে যায় বলে মত বহু বিশেষজ্ঞের। এটি প্রসাদ হিসাবে অর্পণ করলে মিলতে পারে কাঙ্খিত ফলাফল।
মনষ্কামনা পূরণ করতে কী করণীয়?
যাবতীয় মনষ্কামনা পূরণ করতে হোলির দিন ময়দা দিয়ে পুজো করুন হোলিকা দহনের সময়। হোলিকা দহনের সময় আগুনে ময়দা বা বারলি অর্পণ করে মনের ইচ্ছা সৎভাবে প্রার্থনা করলে , তা মেলে বলে দাবি বহু শাস্ত্রজ্ঞের।