কসবার আনন্দপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল। তবে ওই মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার দুই। কলকাতা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম গৌরহরি গায়েন ও আসরাফ মোল্লা ওরফে ভুতো। তবে তারপরেও অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। বিজেপির দাবি, যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে এই আন্দোলন চলবে।
এদিকে এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। ওই বিজেপি নেত্রীর রক্তাক্ত একটি ভিডিয়ো দেখে শিউরে ওঠেন অনেকেই। ভোটপর্বে এই ঘটনায় নানা প্রশ্ন ওঠে।
শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে এলাকায় পোস্টার লাগাচ্ছিলেন সরস্বতী সরকার সহ দলের কর্মীরা। তখনই হামলা চালানো হয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তাঁরা হালতুর দিক থেকে রাস্তার দুই পাশে পোস্টার লাগাতে লাগাতে আরবানার সামনে এসেছিলেন। সেখানে হঠাৎ দেখা যায় দুজন বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ব্যাগে করে লাঠি এনে মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় স্কুটার।
আক্রান্ত নেত্রী বলেন, আমি তাদের বাঁচাতে গেলে গোপাল মালিক চপার নিয়ে আমার ওপর হামলে পড়ে। আমার মাথায় চপারের কোপ বসায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার গোটা মুখ রক্তে ভেসে যায়। এর পর দুষ্কৃতীরা এলাকায় লাগানো বিজেপির পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। আমি ভেবেছিলাম, ওরা মহিলাদের গায়ে হাত তুলবে না। কিন্তু মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোকেরা মহিলাদের প্রতি ততটা শ্রদ্ধাশীল নয়।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘ওরা রাত ১২টার সময় পোস্টার লাগাচ্ছিলেন কেন? ওদের প্রার্থী তো এখানে বহুবার প্রচার করে গিয়েছেন, কোনও সমস্যা হয়নি। গণতন্ত্রে নির্বাচনে সবার প্রচার করার অধিকার রয়েছে। আমিও চাইব দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।’
দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন। উনি কি এভাবে মহিলাদের রক্তাক্ত করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন?’
তবে এরপরই সকাল থেকে শুরু হয় বিজেপির আন্দোলন। তবে পুলিশ দুজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে। তবে বিজেপির দাবি এই ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আন্দোলন থামবে না।