প্রতীক্ষার অবসান করে হোলি উদযাপন শুরু হতে চলেছে। ২০২২ সালের হোলি উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশে সাজো সাজো রব। মনের কালো দিককে মিটিয়ে সকলের রঙে রঙ মিলিয়ে চলার পথ দেখায় বসন্তের এই উৎসব। উল্লেখ্য, দোল পূর্ণিমায় এই বসন্ত উদযাপনের উৎসব ঘিরে জ্যোতিষমতে রয়েছে তিথি। ২০২২ সালের হোলির দিনক্ষণ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে বিভ্রান্তি। কোন দিনে পড়ছে পূর্ণিমা, তা কতক্ষণ স্থায়ী হবে, কখনইবা রয়েছে হোলিকা দহন? দেখে নেওয়া যাক এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর।
হোলিকা দহন কখন হবে?
‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল’, কথাতেই আছে দোলের আগের রাতে সম্পন্ন হয় ন্যাড়াপোড়া। তবে বাংলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় সেই রাতে হোলিকা দহন উদযাপিত হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। এই হোলিকা দহন ঘিরে সম্পন্ন হয় বিশেষ পুজো। ফলে এর তিথি ঘিরে রয়েছে বহু কৌতূহল। জ্যোতিষাচার্য শ্রীরাম দ্বিবেদীর মতে, ভদ্রাকালে হোলিকা দহন করা উচিত নয়। হোলিকা দহনের জন্য ভদ্রাকাল সম্পন্ন হওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ভদ্রামুক্ত পূর্ণিমায় হোলিকা দহন সম্পন্ন করতে হবে। হিন্দু ধর্মে ভদ্রাকে অশুভ মনে করা হয়। এই সময় কোনও শুভ কাজ করা যাবে না।
২০২২ ফাল্গুন পূর্ণিমার তিথি
১৭ মার্চ দুপুরবেলায় ১ টা ২৯ মিনিটে শুরু হবে ফাল্গুন পূর্ণিমার তিথি। পূর্ণিমার তিথি থাকবে ১৮ মার্চ ১২ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এদিকে ভদ্রাকাল শুরু হবে ১৭ মার্চ দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে। যে সময়কালে করা হয় না হোলিতা দহন। এই সময়কাল রাত ১২ টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। ফলে হোলিকা দহন ১৭ মার্চ রাত ১২ টা ৫৭ মিনিটের পরই সম্পন্ন হবে।
হোলিকা দহনের তিথি
১৭ মার্চ রাত ১২ টা ৫৮ মিনিটে শুরু হবে হোলিকা দহনের পর্ব। রাত ২ টো ১২ মিনিট পর্যন্ত এই শুভ সময়কালের তিথি থাকবে। এই সময়কালকে ব্রহ্মা মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা জ্যোতিষবিদদের।
হোলি কবে?
১৭ মার্চ দুপুর থেকে ১৮ মার্চ ১২ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত থাকছে দোল পূর্ণিমার তিথি। এরপর শুরু হবে প্রতিপদ। এই প্রতিপদের সময় ১৯ মার্চ দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। রঙের হোলির জন্য ১৮ মার্চকে অনেকেই শুভ বলে ধরে নেয়। আবার অনেকেই ১৯ মার্চ হোলি খেলতে উদ্যত হচ্ছেন। ফলে ১৮ ও ১৯ দুই দিনই রয়েছে হোলি-দিবস!