বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঈশান কোণ বা উত্তর-পূর্ব দিক হল ঠাকুরঘরের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। এই দিকটিকে দেবতাদের বাসস্থান বলে মনে করা হয় এবং এটি ইতিবাচক শক্তির উৎস।
যাইহোক, যদি আপনার ঘরে ঠাকুরঘর ঈশান কোণ পাচ্ছে না, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত দিকগুলি বিবেচনা করতে পারেন:
উত্তর দিক:উত্তর দিকও ঠাকুরঘরের জন্য একটি শুভ দিক। এই দিকটিকে লক্ষ্মীর বাসস্থান বলে মনে করা হয় এবং এটি সম্পদ এবং সমৃদ্ধির উৎস।
পূর্ব দিক: পূর্ব দিকও ঠাকুরঘরের জন্য একটি শুভ দিক। এই দিকটিকে সূর্যের বাসস্থান বলে মনে করা হয় এবং এটি আলো, শক্তি এবং উন্নতির উৎস।
দক্ষিণ-পূর্ব দিক: দক্ষিণ-পূর্ব দিকও ঠাকুরঘরের জন্য একটি শুভ দিক। এই দিকটিকে ইন্দ্রের বাসস্থান বলে মনে করা হয় এবং এটি বিজয় এবং শক্তির উৎস।
ঠাকুরঘর যে দিকেই রাখুন না কেন, এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
ঠাকুরঘরটি অবশ্যই একটি নির্জন এবং শান্ত স্থানে অবস্থিত হওয়া উচিত।
ঠাকুরঘরের দরজাটি অবশ্যই পূর্ব দিকে উন্মুক্ত হওয়া উচিত।
ঠাকুরঘরের দেয়াল এবং মেঝেটি সাদা বা হালকা রঙে রঙ করা উচিত।
ঠাকুরঘরে কোনও আয়না বা ঝুলন্ত নকশা রাখা উচিত নয়।
ঠাকুরঘরের মধ্যে ঠাকুর মূর্তি বা ছবিটি এমনভাবে রাখা উচিত যাতে পুজো করার সময় ব্যক্তির মুখ পূর্ব দিকে থাকে।
ঠাকুরঘরকে একটি পরিষ্কার এবং সাজানো-গোছানো স্থানে রাখা উচিত। নিয়মিত ঠাকুরঘর পরিষ্কার করা এবং ঠাকুর এর মূর্তি বা ছবিতে ফুল এবং ধূপকাঠি অর্পণ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776