তৃতীয় দফা ভোটের আগেই ঝড়বৃষ্টিতে ভিজেছিল শহর কলকাতা। আর তাতে বড় দূর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে দমকা হাওয়া আর বৃষ্টির মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে সায়নীর গাড়ির সামনে ভেঙে পড়ে একটি গাছের ডাল।
সোমবার সন্ধ্যা থেকেই কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। তার মধ্যেই ভোটের প্রচারে করছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সইফ-অমৃতার নামে এমন কী বলেন শাহরুখের সহ-অভিনেতা দীপক তিজোরি, যা করলেন অস্বীকার
গত কয়েকদিন বাংলার মানুষকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে গরম। তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৫ ডিগ্রিতে কোথাও কোথাও। তারই মধ্যে নির্বাচনের প্রচার সেরেছিলেন ভোটপ্রার্থীরা। এমনকী গরম ও রোদকে তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নেমেছিলেন দেব-রচনা-লকেট-সায়নীরাও।
আরও পড়ুন: মে মাস থেকেই দু-দুটো নতুন রিয়েলিটি শো জি বাংলায়, টিআরপি বাড়াতে কোনগুলো শেষ করা হবে?
সোমবার প্রথমে হালকা ঝোড়ো হাওয়া আর টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে ভাঙড়ের বামনঘাটা, বেঁওতা-১ এবং বেঁওতা-২ অঞ্চলে হুড খোলা গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন সায়নী। তবে এরপর দমকা হাওয়া শুরু হয়, বৃষ্টিরও তেজ বাড়ে। বিপাকে পড়ে যান অভিনেত্রী। আর সেই ঝোড়ো হাওয়াতে সায়নীর র্যালির সামনেই একটি গাছ ভেঙে পড়ে। তবে সেই ঘটনায় কপাল জোড়ে কেউ আহত হয়নি।
কিন্তু হঠাৎ দমকা হাওয়া আর জোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী এবং অন্যান্য নেতাকর্মী। ঝোড়ো হাওয়ায় সায়নীর র্যালির সামনেই একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। তবে তাতে দুর্ঘটনা হয়নি। শওকতকে নিয়ে সেখান থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সায়নী।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র:
২০১৯ সালে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করে ভোটে জিতেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, জায়গা পান সায়নী ঘোষ। এই কেন্দ্র থেকে সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন সৃজন ভট্টাচার্য। এবং বিজেপির প্রার্থী হলেন অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, যিনি পেশায় ডাক্তার।
২০০৯ সাল থেকে এই আসন রয়েছে তৃণমূলের হাতেই। তার আগে ২০০৪ সালে জিতেছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। এখন দেখার, এবারেও কি সেই তৃণমূলই হাসবে শেষ হাসি?