হাঁপানি কথাটির অর্থ হল হাঁ করে শ্বাস নেওয়া। শ্বাসনালীতে বায়ু চলাচলে যখন বাধা সৃষ্টি হয়, তখনই তৈরি হয় শ্বাসকষ্ট আর তাকেই বলা হয় হাঁপানি। এক কথায় বলতে গেলে, হাঁপানি হল শ্বাসনালীর সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ।
কবে পালন করা হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস?
প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা দিবস পালন করা হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৭ মে মঙ্গলবার পালন করা হবে বিশ্ব হাঁপানি দিবস। অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিবস পালন করা হয়।
(আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নো ডায়েট ডে, কেন পালন করা হয় দিনটি? শুনলে অবাক হয়ে যাবেন)
হাঁপানি দিবসের ইতিহাস
১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী সংস্থা জি আই এন এ দ্বারা শুরু হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস। প্রথম এই দিনটি পালন করা হয় স্পেনের বার্সেলোনায়। ১৯৯৮ সালে ৩৫ টির বেশি দেশ হাঁপানি দিবস পালন করেছিল।
হাঁপানি দিবসের গুরুত্ব
শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই দিবস পালন করা হয়। WHO হাঁপানিকে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলির অন্যতম সমস্যা বলে অভিহিত করে। WHO- এর মতে, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে ২৬.২ কোটি মানুষ হাঁপানিতে ভুগছেন, মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪.৫৫ লাখ। এই মুহূর্তে ভারতের ৩৪ কোটির বেশি মানুষ হাঁপানিতে আক্রান্ত।
হাঁপানি দিবসের থিম
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিশ্ব হাঁপানি দিবসের থিম হলো, Asthma Education Empowers অর্থাৎ অ্যাজমা শিক্ষার ক্ষমতায়ন। এই থিমের মাধ্যমে বোঝানো হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কীভাবে সচেতন হতে হবে এবং কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
(আরও পড়ুন: ৩ সেকেন্ডেরও কম সময়ে এই কাজ করে বিশ্ব রেকর্ড ব্যক্তির! অবাক হবেন ভিডিয়ো দেখলে)
কীভাবে আপনি এই দিনটি উদযাপন করবেন
১) একদিন একটি অস্থায়ী চিকিৎসালয় খুলে চিকিৎসকদের পরিচালনায় বিনামূল্যে হাঁপানি রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে।
২) ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের দ্বারা ছড়িয়ে দিতে হবে হাঁপানির সচেতনতা।
৩)অ্যাজমা ক্লিনিকের তথ্য সহ একটি তথ্যপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
৪)সেলিব্রিটি বা রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন যেখানে সচেতনতা বৃদ্ধি হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
৫)গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গ্রামে একদিনের জন্য একটি অস্থায়ী চিকিৎসালয় নির্মাণ করতে হবে।