দীপাবলীর পরের দিন, কার্তিক মাসের প্রতিপদায় গোবর্ধন পুজো করা হয়। চলতি বছর ১৫ নভেম্বর গোবর্ধন পুজো। এদিন গোরু ও গোর্বধন পর্বতের পুজোর রীতি প্রচলিত রয়েছে। এটি অন্নকূট উৎসব নামেও পরিচিত। এদিন গোবর দিয়ে গোবর্ধন পর্বতের আকৃতি তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি গোরু ও গোয়ালাদেরও আকৃতি বানানো হয়। সেখানেই কৃষ্ণকে প্রতিষ্ঠিত করে পুজো করা হয়। গোবর্ধন পুজোর কারণ হিসেবে পৌরাণিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।
দ্বাপর যুগে মানব অবতার ধারণ করেন বিষ্ণু। তাঁর এই কৃষ্ণ অবতারে নানান লীলাখেলায় ব্রজবাসীর মন জয় করেন তিনি। একদা এক উৎসবের দিনে মা যশোদা ও বাবা নন্দকে উৎসবের কারণ জিগ্যেস করেন তিনি। উত্তরে, কষ্ণ জানতে পারেন, ইন্দ্রকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য এই উৎসবের আয়োজন, কারণ ইন্দ্রের বর্ষার কারণে জল পান তাঁরা, যার ফলে ফসল উৎপন্ন হয়। শুনে কৃষ্ণ বলেন, এ সবই ইন্দ্রের কর্তব্য। তাই গোবর্ধন পর্বতের পুজো করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন কৃষ্ণ। কারণ গোবর্ধন পর্বতেই তাঁদের গোরু চরতে যায়। সেই পর্বত থেকেই ফল, ফুল ও সবজি পাওয়া যায়।
এর পরই ব্রজবাসী গোবর্ধন পর্বতের পুজো করেন। একে ইন্দ্র নিজের অপমান মনে করেন ও মুসলধারে বৃষ্টিপাত ঘটান। ব্রজবাসীকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ৭ দিন পর্যন্ত গোবর্ধন পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুলে তুলে নেন। এর পর সমস্ত ব্রজবাসী ওই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন। তখন নিজের কৃতকর্মে লজ্জিত ইন্দ্র কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এই কারণে গোবর্ধন বা অন্নকূট উৎসব পালিত হয়।