মার্গশীর্ষ মাসে তীর্থস্নান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে পূর্ণিমা ও অমাবস্যার দিনে। অমাবস্যায় দান করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। মার্গশীর্ষ অমাবস্যাকে পূর্বপুরুষদের বিশেষ পুজোর দিন বলে মনে করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে তর্পণ ও পিণ্ডদান করলে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি ও মোক্ষ লাভ করেন। মার্গশীর্ষ অমাবস্যা হবে ২০২৩ সালের শেষ অমাবস্যা। আসুন জেনে নিই মার্গশীর্ষ অমাবস্যার তারিখ, সময় এবং তাৎপর্য।
মার্গশীর্ষ অমাবস্যা ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে। যেহেতু এই দিনটি মঙ্গলবার, তাই একে বলা হবে ভৌমবতী অমাবস্যা। মঙ্গলবার অমাবস্যায় পিতৃপুরুষের পুজো করলে একজন ব্যক্তি পৈতৃক ঋণ থেকে মুক্ত হন। এই দিনে পিতৃপুজোর পাশাপাশি হনুমান ও মঙ্গল গ্রহের পুজো করলে মঙ্গল গ্রহের দোষ-ত্রুটিও দূর হয়।
পঞ্চাং অনুসারে, মার্গশীর্ষ অমাবস্যা ১২ ডিসেম্বর সকাল ০৬ টা ২৪ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৩ ডিসেম্বর সকাল৫ টা ০১ মিনিটে শেষ হবে।
মার্গশীর্ষ অমাবস্যার তাৎপর্য
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, সত্যযুগে দেবতারা মার্গ-শীর্ষ মাসের প্রথম তিথিতে বছর শুরু করেছিলেন। বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, এই অমাবস্যায় উপবাস, স্নান ও দান করলে পিতৃপুরুষ সহ ব্রহ্মা, ইন্দ্র, সূর্য, অগ্নি, পশু-পাখি এবং সমস্ত ভূত তৃপ্ত ও সুখী হয়। কথিত আছে যে কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে যেমন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করে দীপাবলি উদযাপন করা হয়, তেমনি এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়।
মার্গশীর্ষ অমাবস্যার গুণ
যাদের কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষ আছে, সন্তানের সুখের অভাব বা নবম ঘরে রাহু দুর্বল তাদের অবশ্যই মার্গশীর্ষ অমাবস্যার উপবাস পালন করতে হবে, এতে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক লাভ হয়। এছাড়াও, এই অমাবস্যায়, তুলসী মূল দিয়ে স্নান করা উচিত। এতে শ্রীকৃষ্ণ খুবই খুশি হন।