এবারেরে আইএসএল অভিযান একদমই ভালো যায়নি ইস্টবেঙ্গলের। এই মরশুমের সাফল্য বলতে সুপার কাপ জয়, ডুরান্ডের ফাইনালে ওঠা এবং মোহনবাগানকে দুবার হারানো। কিন্তু সমর্থকরা অপেক্ষায় রয়েছে বহুকাঙ্খিত আইএসএল ট্রফি জয়ের। লালহলুদ সমর্থকরা যেখানে আশা করেছিল সুপার কাপ জয়ের পর দল ঘুরে দাঁড়াবে, তখনই পরপর ফুটবলার বদলের জেরে গোটা দলের কম্বিনেশনই ঘেঁটে যায়। বোর্হাকে ছেড়ে দেওয়ায় গোয়া এফসি তাঁদের শক্তি বাড়িয়ে নেয়, অথচ ইস্টবেঙ্গলে তাঁর পরিবর্ত ফুটবলার এলেও তিনি দাগ কাটতে ব্যর্থ হন। এবছর তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়ে নেমেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
মরশুমের মাঝপথে ফ্রি প্লেয়ার আনতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, হয় তাঁরা আনফিট, নয় চোট বাঁচিয়ে খেলছে। নাহলে সেরকম উচ্চমানের নয়। লালহলুদের পুঁজি যে বিশাল তেমনটাও নয়। তাই সীমিত সাধ্য সঙ্গে কোচ কুয়াদ্রাতের ওপর ভরসা রেখেই দল গঠনে নেমেছে লালহলুদ। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরেই লালহলুদের টার্গেটে রয়েছে কেরল ব্লাস্টার্সে খেলা গ্রিসের ফুটবলার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস। এবারের আইএসএলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। ১৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ওপরেই তিনি। করেছেন দুই প্রধানের বিপক্ষেই গোল, ফলে তাঁকে দলে পেতে মরিয়া হয়েই ঝাঁপাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল দল।
আরও পড়ুন-খেলোয়াড়দের ওপর আমার একশো শতাংশ আস্থা রয়েছে- ওড়িশাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেই হাবাসের হুঙ্কার
ইতিমধ্যেই ব্রাজিলিয়ান ক্লেইটন সিলভাকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ব্রাজিলিয়ান ক্লেইটন লালহলুদ জার্সির ওজন বোঝেন। এবারও ৮ গোল করেছেন। আরেক ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরেরও লালহলুদে থাকা পাকা। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সাউল ক্রেসপো সুপার কাপ থেকেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। এছাড়াও পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বেশ পারদর্শী। তিনিও থাকছেন। এরই মধ্যে একজন প্রপার বক্স স্ট্রাইকারের খোঁজে রয়েছে লালহলুদ। ক্লেইটন থাকলেও তাঁর বয়স হচ্ছে। ফলে নিচে নেমে বল নিয়ে উঠে আক্রমনে গিয়ে গোল করা, তাও আবার একদম সাপোর্ট না পেলে। সেই কাজটি সম্ভব হচ্ছে না ক্লেইটনের পক্ষে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট মরিয়া গ্রিসের জাতীয় দলে খেলা দিয়ামানতাকোসকে দলে নিতে।
আরও পড়ুন-MB vs OFC ম্যাচের পরে মোহনবাগান অধিনায়ককে মারতে গিয়েছিলেন ওড়িশার ফুটবলাররা! শুভাশিসের বড় অভিযোগ
এদিকে ভারতীয় ব্রিগেডও মোটামুটি গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে লালহলুদ। কেরল থেকে দিয়ামানতাকোসের সতীর্থ প্রীতম কোটালের লালহলুদে আশা নিয়ে জল্পনা থাকলেও, তাতে শিলমোহর পড়েনি। তবে স্ট্রাইকার ডেভিড, গোলরক্ষক দেবজিত মজুমদারকে নিয়ে ফেলেছে তাঁরা। এছাড়া মহেশ, নিশু কুমার, গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল, নন্দকুমাররা থেকে যাচ্ছেন। ফলে ভারতীয় ব্রিগেড নেহাত খারাপ হচ্ছে না লালহলুদের। এবারের আইএসএলে বেশ নজর কেড়েছেন ওড়িশার আইজ্যাক, মুম্বইয়ের ছাংতেরা। ফলে লালহলুদ কর্তাদের আশা প্রাপ্য সুযোগ পেলে নবাগত পাহাড়ি ফুটবলার ডেভিডও ইস্টবেঙ্গলে ফুল ফোটাবেন।
আরও পড়ুন-জোড়া গোল করে নজির গড়লেন মেসি, নিউ ইংল্যান্ড রেভোলিউশনের বিরুদ্ধে জয় ইন্টার মায়ামির
এছাড়াও এক ভারতীয় ডিফেন্ডারের খোঁজে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। লালচুননুঙ্গা থাকলেও তিনি ঠিক সেট হননি এখনও। প্যান্টিচকেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই এক দীর্ঘ উচ্চতার ডিফেন্ডার চাইছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এখনও আইএসএলের ফাইনাল হয়নি, তাই কিছু ক্লাব এবং ফুটবলার, উভয়পক্ষই অপেক্ষা করছে শেষ ম্যাচের। যদিও সূত্রের খবর, গ্রিসের দিমিত্রিয়সকে পাওয়ার দৌড়ে বেঙ্গালুরু এফসি থাকলেও, লালহলুদই এগিয়ে রয়েছে। কারণ কলকতায় পরপর আইএসএলের শিল্ড এবং ট্রফি আসায় দিমিত্রিয়স নাকি নিজেও কলকাতার কোন ক্লাবেই খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ঘনিষ্ঠমহলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।