সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা করছে প্রতারকরা। সাধারণ মানুষকে প্রতারণা জালে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই বাদ যাচ্ছেন না সরকারি আধিকারিকরাও। সোশ্যাল মাধ্যমে তাদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা করা হচ্ছে। এবার মহকুমা শাসকের নামে সোশ্যাল মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মহকুমা শাসক। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের নামে ফেসবুকে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'দ্বিতীয় পুরুষ!' ফেসবুকে সৃজিতের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, সাবধান করে কী লিখলেন?
মহকুমা শাসকের অভিযোগ, তাঁর নামে কমপক্ষে ১২টি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। আর সেই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে চালানো হচ্ছে প্রতারণা। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মহকুমা শাসকের ছবি দেওয়াও হচ্ছে। ট্রুকলারে মহকুমা শাসকের ছবি দিয়ে নাম সেভ করা হচ্ছে। এভাবেই সাধারণ মানুষকে তারা ফোন করে প্রতারণা করছে। বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মহকুমা শাসক। পাশাপাশি, তিনি সাধারণ মানুষকেও সচেতন করেছেন। মহকুমা শাসকের বক্তব্য, বর্তমানে সেলিব্রেটি বা উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেরকমই তাঁর নামেও একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ট্রুকলার হ্যাক করেও তাঁর ছবি দেওয়া হচ্ছে। এরপর সেই নম্বর থেকে ফোন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের কোনও গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ মহাকুমা শাসকের। তিনি জানান, অনেকেই তাঁর ছবি দেখেই হয়তো ভাবতে পারেন যে তিনি ফোন করেছেন। তাই এ নিয়ে তিনি মানুষকে সতর্ক করেছেন।
এই অবস্থায় তিনি মানুষকে সচেতন করে বলেন, বর্তমানে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটছে। ফলে কোনও সেলিব্রেটি বা উচ্চ পদস্থ আধিকারিক ফোন করলে মনে করতে হবে যে সেটি ভুয়ো। কারণ তাদের ফোন করার এত সময় নেই। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল প্রতারকরা। এরপর বিভিন্ন জনকে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পরেই ওই আসবাবপত্র বিক্রির নাম করে প্রতারণার চেষ্টা চালায় প্রতারকরা।