আসানসোলে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। পছন্দের অভিনেতাকে কাছে পেয়ে অনেকেই কথা বলতে চেয়েছিলেন, হাতও মেলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মিঠুন গাড়ির কাচ খুললেন না বলেই অভিযোগ। আর এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি বাঁধে। শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে লোকসভা ভোটের উত্তাপও বেড়েছে। এবার আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে, তাঁর বিপক্ষে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়া। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে আজ রবিবার আসানসোলে প্রচারে যান দলের তারকা নেতা। এদিন আসানসোলে সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে বুধা মাঠ থেকে গড়াই রোড হয়ে মহিসিলার বটতলা বাজার পর্যন্ত রোড শো করার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। সেই মতোই তিনি বুধা মাঠে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন। এরপর রোড শো শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি হুড খোলা গাড়িতে করে রোড শো শুরু করেন। কিন্তু শেষ হওয়ার আগেই তীব্র গরমে চার চাকা গাড়ির ভিতরে চলে যান। বন্ধ করে দেন গাড়ির কাচ। এদিকে, মিঠুনকে দেখার জন্য রাস্তার দুদিকেই উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল। তারা অনেকে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলতে চান। আবার অনেকেই হাত মেলাতে চান। তবে অভিযোগ, মিঠুন চক্রবর্তী গাড়ির কাচ আর খোলেননি। তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।
এরই মধ্যে কিছু মানুষ তাদের ক্ষোভের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চাইলে বিজেপির কর্মীরা পালটা স্লোগান দিতে থাকে। তাদের আওয়াজ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তি বাঁধে। যদিও পরে নিজেরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, বামেরা অশান্তির পাকানোর চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, এখানে বাম প্রার্থী হয়েছেন জাহানারা খান। প্রসঙ্গত, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে পরপর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। সেই সময় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেখানে ফের নির্বাচন হয়। তখন তৃণমূলের প্রার্থী শত্রু সিনহা জয়ী হন।