সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা করছে প্রতারকরা। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এবার প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিল পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। উলুবেরিয়া পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে সাড়ে বারো লাখের ওপর সাইবার প্রতারণার অভিযোগ, নিষ্পত্তি ২৫ শতাংশ কেসে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্যে বসে পুরসভার চেক জাল করে এবং আধিকারিকদের সই নকল করে টাকা তোলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১৫ টি চেক ও সই জাল করে এই টাকা তোলা হয়েছে। এই অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরসভা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা উলুবেরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট একটি ইএমডি অ্যাকাউন্ট ছিল। মূলত পুরসভার ঠিকা কর্মীদের পেমেন্ট করা হত এই অ্যাকাউন্ট থেকে। পুরসভা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারে গত ২৯ নভেম্বর। সেক্ষেত্রে জানা যায়, দুটি চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। তবে চেক দুটির নম্বর একই এবং টাকার পরিমাণও একই দেখে সন্দেহ ব্যাঙ্কের। এরপর পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হলে আধিকারিকরা চেকগুলি খতিয়ে দেখে জানতে পারে সেগুলি জাল। তাতে যে সই ছিল তাও নকল করা। সব মিলিয়ে দেখা যায় এভাবে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ১৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৭৭ টাকা তুলে নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই থানায় অভিযোগ জানায় পুরসভা।
জানা গিয়েছে, পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রজত মজুমদার এবং ফিনান্স অফিসার উত্তম মণ্ডলের সই নকল করে টাকা তোলা হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর থেকে থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে এই টাকা তোলা হয়েছে বলে পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ৬ জনের প্রতারকদের একটি দল এইভাবে প্রতারণা করেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে চেকগুলি কীভাবে ক্লিয়ার হল? প্রতারকরা বা কীভাবে চেকের ডিটেলস এবং আধিকারিকদের ছবি পেল? সে ক্ষেত্রে পুরসভার কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। এই ঘটনায় পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।