আজ রবিবার ধূপগুড়িতে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জনসভা। সেই সভা ঘিরে স্বাভাবিকভাবে উন্মাদনা ছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। প্রধানমন্ত্রী সভাকে কেন্দ্র করে এদিন দূরদূরান্ত থেকে ধুপগুড়িতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। সেরকমই রাজগঞ্জ থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তবে সভাস্থলে যাওয়ার পথেই ঘটল বিপত্তি। দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একটি গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জ এলাকায়। এই ঘটনায় বিজেপির ১৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর চোট পেয়েছেন। এক বিজেপি কর্মীর আঙুল কেটে ঝুলতে থাকে।
আরও পড়ুন: জম্মুতে ৩০০ ফুট খাদে পড়ে গেল গাড়ি, মৃত বিহারের আট সহ দশ জন
জানা গিয়েছে, এদিন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক গাড়িতে করে ধূপগুড়িতে যাচ্ছিলেন। রাজগঞ্জের মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ওই কর্মীরা যাচ্ছিলেন। তাদের যাওয়ার পথে বোদাগঞ্জ এলাকায় ঘটে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় গাড়িটি। তারফলে গাড়িতে থাকা বিজেপির ১৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হন। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলে।
এর মধ্যে বিপ্লব রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর একটি আঙুল কেটে ঝুলতে থাকে। পরবর্তীকালে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে বিজেপির তরফে বিপ্লবকে ওই নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা শেষ হতেই সেখানে পৌঁছে যান বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, আহত এবং তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি। তাদের দেখতে সভা শেষ করেই তিনি হাসপাতালে পৌঁছন। যদিও আহতরা বিজেপি কর্মী সমর্থক হওয়ায় সরকারি হাসপাতালের ওপর ভরসা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো না পেলে প্রয়োজনে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও এদিন দলের অন্যান্য নেতারা আহত কর্মী সমর্থকদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।