গঙ্গারামপুরে ২ মহিলাকে নিগ্রহে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার তাদের গ্রেফতার করে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম গোবিন্দ সরকার ও অমল সরকার।
গঙ্গারামপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সরকার। এই ঘটনায় থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা স্মৃতিকণা দাস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলি উপপ্রধান অমল সরকার এখনো অধরা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায় ২ মহিলাকে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন ব্যক্তি। জানা যায়, নির্যাতিতাদের একজনের নাম স্মৃতিকণা দাস। তিনি গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরের বাসিন্দা। অন্যজন তাঁর দিদি। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা স্মৃতিকণাদেবী এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত।
জানা যায়, তাঁর জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করছিল পঞ্চায়েত। ২৪ ফুট চওড়া ওই রাস্তা তৈরি হচ্ছিল নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত। স্মৃতিকণাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই চলছিল রাস্তার কাজ। এমনকী জমি অধিগ্রহণ নিয়েও তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের। এর পর জমি রক্ষা করতে ধরনায় বসেন স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদি।
অভিযোগ, তাঁদের সেখান থেকে হঠাতে পৌঁছয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার। এর পর ২ মহিলার পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে তাদের ঘরে ঢোকায় অমল ও তার দলবল। তারা চলে যাওয়ার পর আহত স্মৃতিকণাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রাই। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে উপ-প্রধানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।