শীত পড়তে শুরু করেছে। আর এর মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিল হুগলির পাণ্ডুয়ার উত্তরখণ্ড সরকার ডাঙ্গা গ্রামে। এখনও পর্যন্ত ওই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল থেকে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার গ্রামে মৃত্যু ৩ জনের, ডায়রিয়ার আতঙ্ক, পাঠানো হল মেডিক্যাল টিম
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, বমির সমস্যায় ভুগছেন গ্রামের বহু মানুষ। যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা থেকে শুরু করে রয়েছে শিশু। প্রথমে বিষয়টি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরে আসে। এরপরেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গ্রামের পুকুর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে থাকেন মানুষজন। সেই জল থেকে কোনওভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ জন ওই গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরে গ্রামে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন চুঁচুড়া সদরের মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। এছাড়াও ছিলেন পাণ্ডুয়ার বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস। পাশাপাশি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন।
প্রশাসনের বক্তব্য, সচেতনতার কারণেই সেখানে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন মানুষজন। পানীয় জল যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয় সেই জায়গা যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও সেমন্তী বিশ্বাস। এছাড়াও ওই জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে জল থেকে ডায়রিয়ার সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাছাড়া সাধারণ মানুষজনকেও জল ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে। পানীয় জলের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু, তারপরও তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকার বহু মানুষই পুকুর থেকে জল সংগ্রহ করে ব্যবহার করছেন।