২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা যাননি। উল্টে ওইদিন কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিলে হাঁটেন তাঁরা। এবার এই নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় এসে মমতা–অভিষেককে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বর্ধমানের সভা থেকে আজ, মঙ্গলবার অমিত শাহ সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জানান, এই রাজ্যেও সিএএ কার্যকর হবে।
এদিকে তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে আজ বাংলায় আসেন অমিত শাহ। বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকারের সমর্থনে মেমারিতে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নানা অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন শাহ। তবে এদিন অভিষেকের নাম একবারও নেননি অমিত শাহ। তবে ভাইপো বলে উল্লেখ করে তুলোধনা করেন। অমিত শাহ বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের পাতাল থেকে খুঁজে বের করে জেলে ভরবে বিজেপি সরকার। এঁরা সকলেই দিদির গুন্ডাদের হাতে খুন হয়েছেন। আমি আজ বলে যাচ্ছি, যাঁরাই এই হত্যা করছে, আমাদের সরকার গঠনের পর সকলকে পাতাল থেকেও খুঁজে বার করে এনে জেলে পাঠানোর কাজ করবে বিজেপি।’
আরও পড়ুন: গাছের ডাল নিয়ে রেখা পাত্রকে তাড়া করলেন মহিলারা, ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগান উঠল
অন্যদিকে মমতা এবং অভিষেকের রামমন্দির উদ্বোধনে না যাওয়া নিয়েও তোপ দাগেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, ‘মমতা দিদি ও ভাইপোকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের ভয়েই তাঁরা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন যাননি। অযোধ্যায় রামমন্দির করেছে বিজেপি সরকার। ৭০ বছর ধরে এই রামমন্দির ঝুলিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল এবং কমিউনিস্টরা। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই রামমন্দির করেছে। এবার মমতা দিদি–ভাইপোর বিদায় নেওয়ার পালা। বাংলার মানুষও চায় কাশ্মীরে ভারতের পতাকা উড়ুক। তাই মমতা দিদি আপনার না চাওয়াতে কিছু যায় আসে না।’ এভাবেই হুঙ্কার ছাড়লেন অমিত শাহ।
এছাড়া বিজেপির একাধিক নির্বাচনী প্রচারের মতোই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী কী কী কাজ করেছেন সেসব খতিয়ানও তুলে ধরেন অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর কাজকে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয় না বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘আগামী দিনে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করুন। তবেই বাংলার মানুষও আয়ুস্মান প্রকল্প–সহ একাধিক সুবিধা পাবেন। মোদীজি বাংলার বিকাশের জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা কোথায়? যাঁরা বাংলার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁদের উল্টে সোজা করার কাজ করবে মোদী সরকার।’