উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে মোটরসাইকেল বিপণি থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিপণির মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিহত সাদ্দাম হোসেনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার নৈহাটির ওই মোটরসাইকেল বিপণির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ এসে শৌচাগার থেকে দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ, কিস্তি শোধ করতে না পারায় সাদ্দামকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিপণির কর্মীরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিপণির মালিক রোহিত সিং ও ২ কর্মচারী কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেন নৈহাটি থানার তদন্তাকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, চেক বাউন্স করেছে জানিয়ে মঙ্গলবার সাদ্দামকে তলব করে বিপণি কর্তৃপক্ষ। রাতে সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরিবারকে জানানো হয়, টাকা না মেটালে তাঁকে ছাড়া হবে না। যুবক ফোনে পরিবারকে জানায়, টাকা না দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করবে। এর পর বুধবার বিপণি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
বিপণি কর্তৃপক্ষের দাবি, টাকা শোধ করতে না পেরে চাপের মুখে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। দেহ বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে ঘটনা স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।