২০০০ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটার ছিলেন রিকি পন্টিং। বিশ্বকাপ এলে তার জয়ের খিদে আরও বাড়ত। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে জোহানেসবার্গে একাই শেষ করে দিয়েছিলেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ফাইনালে শতরান করে মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন সচিন, সৌরভদের। একদা অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক বর্তমানে কাজ করছেন আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচ হিসেবে। সেখানে গল্প আড্ডা দিতে দিতে জানালেন, কেরিয়ারে শুধু ৭১টি শতরানই করেননি। একই সঙ্গে শতরান করা সেই ব্যাটগুলি সামলে রেখেছেন তিনি। সযত্নে প্রত্যেকটা ব্যাটই তোলা আছে তাঁর। টেস্ট বা একদিনের ক্রিকেটে বরাবরই দেখা যায় কোনও বোলার পাঁচ উইকেট নিলে সেই বল তাঁরা নিজের কাছে রেখে দেন স্মৃতি হিসেবে। তেমনই আন্তর্জাতিক ম্যাচে শতরান করলে সেই ব্যাটও আগলে রাখতেন পন্টিং, এখনও বাড়িতেই রয়েছে সব, জানাচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হেড কোচ।
আরও পড়ুন-IPL 2024- 'Don't spread nonsense', মিথ্যে উদ্ধৃতির অভিযোগে এক ওয়েবসাইটকে ধুয়ে দিলেন রায়াডু
২০০০ সালের পর থেকে রিকি পন্টিংয়ের অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়াকে যারা দেখেছেন তাঁরা জানেন বিশ্বক্রিকেটে ঠিক কতটা দাপট ছিল ব্যাগি গ্রিনসদের। অ্যালান বর্ডার, স্টিভ ওয়াহরা সেদেশের কিংবদন্তী হলেও পন্টিংয়ের নেতৃত্বে ক্যাঙ্গারুরা ছিল ভয়ঙ্কর। সেটা ব্যাটে বলে হোক বা স্লেজিংয়ে। আর রিকি তাঁদেরই অধিনায়ক ছিলেন। সেই সময় ভয়ঙ্কর ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছিলেন ১২১ বলে ১৪০ রান। তখন টি২০ ফরম্যাটের চল ছিল না, তাতেই তিনি ১০০-র ওপর স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছিলেন। এরপর সেই ব্যাট রেখে দিয়েছেন নিজের বাড়িতেই। সেই সময় খুব চর্চা চলেছিল পন্টিংয়ের ব্যাটে বুঝি স্প্রিং লাগানো আছে, যদিও তাঁরও উত্তর দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক।
আরও পড়ুন-IPL 2024-ইডেন থেকে চিপক, হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে কতটা সহায়তা করছে পিচ?
টেস্টে ৪১টি শতরানের মালিক বলছেন,' প্রায় হাজারের কাছাকাছি ব্যাট রয়েছে বাড়িতে। সব যে দেখানোর জন্য সাজিয়ে রাখা রয়েছে তা নয়, গ্যারেজে রেখে দিয়েছি। কিন্তু সব ভালো মূহূর্তের ব্যাট আমার কাছে আছে। তাতে প্রতিপক্ষ দলের নাম এবং আমার স্কোর লেখা আছে। আমার জীবনের প্রথম ব্যাটও বাড়িতে রাখা আছে। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ব্যাটও রাখা আছে'। এরই সঙ্গে পন্টিং জানান, ব্যাটে স্প্রিং লাগানোর বিষয়টি একদমই গুজব। নিজের শক্তির জেরে অত বড় বড় ছয় মেরেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে।
আরও পড়ুন-IPL 2024- 'Don't spread nonsense', মিথ্যে উদ্ধৃতির অভিযোগে এক ওয়েবসাইটকে ধুয়ে দিলেন রায়াডু
দিল্লি ক্যাপিটালসে পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তোলা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, ১৩ বছর বয়সে প্রথমবার ব্যাট পেয়ে খুন খুশি হয়েছিলেন। বল করা হলেই সপাটে শট খেলতেন। দিল্লির আরেক অজি ক্রিকেটার ওয়ার্নারও নিজের ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে করে বলেন, তিনি জন্মদিনে প্রথমবার ব্যাট পেয়েছিলেন। এরপর আর সেই ব্যাট হাতছাড়া করেননি। রাখতেন মাথার পাশেই।