রাজ্যে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জায়গা থেকে টন টন বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে পুলিশি তল্লাশিতে। কিন্তু তাতেও যে রোগ সারেনি তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল বুধবার রাতে। চম্পাহাটিতে ফের আগুনে পুড়ল একটি ঘরোয়া বাজি কারখানা। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের খবর নেই।
বুধবার রাতে চম্পাহাটির হারাল এলাকায় বিশ্বনাথ নস্কর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়িতে চলে একটি ঘরোয়া বাজি কারখানা। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকার মানুষও সেখানে চরকা, তারাবাজি বানান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। ফলে আগুন লাগলেও প্রথমে কেউ তা টের পায়নি। পরে প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে আগুন নেভান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১টি ইঞ্জিন।
এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ওরা ছোট খাটো বাজি বানায়। বাড়িতে মশলা ছিল। সেখানে বিয়ে বাড়ির জ্বলন্ত সেল এসে পড়ে আগুন লেগে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় সেটা প্রথমে বোঝা যায়নি। পরে বুঝতে পেরে আমরাই জলটল দিয়ে আগুন নেভাই।’
এই ঘটনায় বেআইনি বাজি রুখতে বারুইপুর পুলিশ জেলার তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি শোরগোল থামতেই ফের চম্পাহাটিতে চালু হয়ে গিয়েছে বেআইনি বাজি কারখানা? না কি চম্পাহাটির মতো জায়গায় বেআইনি বাজি রোখার কোনও ক্ষমতাই নেই পুলিশের?