ভাবা যায়! মাছের সাইজ দেখে বাসিন্দাদের একেবারে ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা। উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কালীতলা ঝিঙেখালির বাসিন্দা বসুদেব মৃধা। ছেলে হরিদাস মৃধাকে নিয়ে রায়মঙ্গল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। বর্ষার টুপটাপ বৃষ্টি। তার মধ্যেই মাছের আশায় রাতভর অপেক্ষা।তবে এদিন রায়মঙ্গল তাদের খালি হাতে ফেরায়নি। গভীর রাতে হঠাৎই বসুদেব দেখেন জালে টান লাগছে। অত বড় মাছ টেনে তোলা কি মুখের কথা। কোনওরকমে তাঁরা নৌকায় টেনে তোলেন ওই বিশাল মাছটিকে। অল্প আলোয় দেখেন এটা আসলে বিরাট আকারের ভেটকি।
মাছটি প্রায় চার হাত লম্বা। এক হাত চওড়া। প্রাথমিকভাবে কালীতলা বাজারেই তাঁরা মাছটিকে এনেছিলেন। কিন্তু এত পরিশ্রম করে ধরা মাছ। গ্রামের বাজারে কি দাম উঠবে? সময় নষ্ট না করে তাঁরা সেই মাছ নিয়ে রওনা দেন কলকাতার দিকে।
তবে সেখানেও বসুদেবের আশা সফল। প্রতি কেজি ৯৮০ টাকা দর উঠেছে ওই বিশাল ভেটকির। মাছটির ওজন ছিল ১৯ কেজি ৬২০ গ্রাম। সব মিলিয়ে তিনি মাছটির দাম পেয়েছেন ১৯ হাজার। এদিকে মাছের এই চড়া দাম পেয়ে অত্য়ন্ত খুশি বসুদেব। তিনি কৃতজ্ঞ রায়মঙ্গলের কাছে। বছর দুয়েক ধরেই তিনি বার বার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অবশেষে ভগবান মুখ তুলে তাকালো। একেবারে সোনা মাছ তুললেন তিনি নদী থেকে।