করোনার দাপট কিছুটা কমেছে বাংলা জুড়ে। তবে সকলকেই যাতে করোনার টিকা দেওয়া যায় সেব্যাপারে নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার। সেই মতো বসিরহাট জেলা হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই মতো সায়ন বিশ্বাস নামে এক স্কুল পড়ুয়া টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিল। জরুরী বিভাগের গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিল সে। আচমকাই একবারে বড় দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কার্নিস। আর সেটি একেবারে সায়নের মাথায়। মাথা ফেটে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। দ্রুত সায়নের চিকিৎসার ব্য়বস্থা করা হয় সায়নের। একেবারে সুস্থ শরীরে টিকা নিতে এসেছিলেন সায়ন নামে ওই ছাত্র। কিন্তু তিনিই বাড়ি ফিরলেন মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে।
তবে মাথা ফেটে যাওয়ার পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সায়নকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানেই হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেখানে প্রতিদিনই অসুস্থ মানুষরা চিকিৎসার জন্য আসেন। পাশাপাশি জরুরী বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই তাঁদের প্রথমে আনা হয়। করোনার টিকা নেওয়ার জন্যও বর্তমানে অনেকেই হাসপাতালে আসছেন। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের কার্নিস, প্লাস্টার কতটা মজবুত সেটা কি আদৌ দেখা হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা নিলে আগামী দিনে আরও এই ধরণের দুর্ঘটনা হতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।