মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের 'অপহৃত' ১১ জন সদস্যকে উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাটিহার যাওয়ার পথে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরণ ও হেনস্থার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিন উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর পঞ্চায়েত সদস্যরা জানান, ‘আশরাফুলের লোকজন আমাদের অপহরণ করে বিহারে নিয়ে চলে যায়। তাঁর নির্দেশেই অপহরণ করানো হয়েছিল। আমরা এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে ভেবেছিলাম বেঁচে ফিরতে পারব না। যে সব দুষ্কৃতীরা আমাদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা আমাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখাত। অনেক মহিলাকে চুলের মুটি ধরে মারধর করেছে। এই ধরনের কাজ যারা করেছেন, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে বিডিও অফিসে নিয়ে আসে। এই রকম মহিলাদের ওপর যদি অত্যাচার চালানো হয়, তাহলে আমরা রাজনীতি করতে পারব না।’
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে মাস খানেক আগেই অনাস্থা আনে পিন্টুকুমার যাদব-সহ ১১ জন সদস্য। এদিন অনাস্থা আনা ওই সব সদস্যের সাক্ষর যাচাইয়ের জন্য তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্লক অফিসে ডাকা হয়। তখনই তাঁদেরকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তাঁর লোকজনেরা। এরপর দলের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা পথ অবরোধ শুরু করেন। পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। ফের যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।