শনিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রামে পা রেখে আম জনতার ক্ষোভের কথা শুনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অভিযোগ উঠল, অভিষেকের সামনে ‘মুখ খোলায়’ ভয় দেখানো হচ্ছে গ্রামবাসীদের একাংশকে। এই আবহে এবার গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সেই গ্রামে যান পুলিশ সুপার। যদিও পুলিশ সুপারের কথায়, কাঁথি যাওয়ার পথে ‘এমনিই’ ঘুরে গেলেন তিনি। তবে তিনি জানান, গ্রামে পুলিশ পিকেট বসবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিদের ভূমিকা নিয়ে যাঁরা অভিষেকের কাছে মুখ খুলেছিলেন, তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, কাঁথির সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মারিশদায় গ্রাম থেকে নামেন অভিষেক। অভিষেককে দেখে ঘিরে ধরেন গ্রামের মহিলারা। বলেন, ‘আমরা কিছুই পাইনি।’ এরপরই পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন অভিষেক। অভিষেকের ভর্ৎসনার মুখে বিড়ম্বনায় পড়েন মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল, অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র।
এদিকে আম জনতার মুখে অভিযোগ শুনে কাঁথিতে জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আর উপপ্রধানের ইস্তফা আমার টেবিলে চাই। একটা পঞ্চায়েতে যদি কাজ না হয়, তার জন্য প্রধান দায়ী, তার জন্য অঞ্চল সভাপতিও দায়ী। আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান, উপপ্রধানের ইস্তফা চাই। যদি তা না আসে তা হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। মানুষের জন্য যদি এই ন্যূনতম কাজ করতে না পারি, আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে এগুলো না দেখি, তাহলে আমাদের রাজনীতি করে লাভ নেই।’ অভিষেকের এই ক্ষোভ প্রকাশের পরই বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি।