এখনও একসপ্তাহ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে এসেছেন হিঙ্গলগঞ্জ ও সুন্দরবন থেকে। তারপর একের পর এক প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়ে চলেছে। কয়েকদিন আগেই সুন্দরবন পেয়েছিল সরকারি বাস পরিষেবা। এবার চক খাঁপুকুরের স্কুল মডেল স্কুল হতে চলেছে বলে খবর। কারণ চক খাঁপুকুরের স্কুলটিকে মডেল স্কুল করার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই কথাই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে? সুন্দরবনের সামসেরনগরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পাঁচদিনের মধ্যেই ওই স্কুলে হাজির হলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের চেয়ারম্যান–সহ স্কুল কর্তারা। ওই প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শিক্ষকদের কথাও শোনেন সেদিন। তখনই তাঁর কাছে ওই স্কুলকে মডেল স্কুলে রূপান্তরিত করার অনুরোধ পেশ করা হয়। এবার ওই স্কুলটি পরিদর্শনে এসেছিলেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার। সঙ্গে ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরিন্দম চক্রবর্তী।
আর কী জানা যাচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই হাসনাবাদের চক খাঁপুকুর প্রাথমিক স্কুলটি যাতে মডেল স্কুল হয় সেটাই খতিয়ে দেখলেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান। এদিন পরিদর্শনে এসে স্কুলের কোথায়, কী সমস্যা আছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। একটি শিশুউদ্যানও তৈরি হবে বলে জানান দেবব্রতবাবু। তিনি বলেন, ‘বিডিও–র সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন থেকেই সম্পূর্ণ সরকারিভাবে স্কুলটিকে মডেল স্কুলে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
কেমন লাগছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের? এই কথা জানার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত খুশি। তাদের স্কুল নবরূপে সজ্জিত হবে, মডেল স্কুলে রূপান্তরিত হবে শুনে খুব খুশি স্কুলের পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন স্কুলটির কোনও মেরামতি হয়নি। মিড ডে মিল রান্নার জায়গা নেই। স্কুল ঘরের মধ্যেই রান্না হচ্ছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, ‘সেদিন হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। যাওয়ার সময় বলেছিলেন, এই স্কুলটিকে মডেল স্কুল হিসেবে তুলে ধরা যায় কি না, ভাবনাচিন্তা করা হবে। তাঁর সেই ভাবনাই সত্যি হল। গ্রামবাসী, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক–সহ আমাদের সকলেরই এতে খুব ভাল লাগছে।’