করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ঠিক থাকলে ডিসেম্বর মাসে হতে পারে পুরসভা নির্বাচন। এমনই চায় রাজ্য সরকারও। এই পরিস্থিতিতে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে ভাঙন ধরেছে বিজেপিতে। এবার বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি জয়দীপ নন্দী ফিরলেন নিজের পুরনো ঘরে। এই ঘটনার পর চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। কারণ প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী ২২ মাস আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেখানে পদত্যাগ করে ফিরে এলেন পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে।
কোন এলাকায় ভাঙন ধরল? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন রাজু পাল, বাবলু তালুকদার–সহ বেশ কয়েকজন। জয়দীপ নন্দীর সঙ্গেই এঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। শনিবার শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার, অলোক চক্রবর্তীরা।
এই যোগদানের বিষয়ে সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘অভিজ্ঞ নেতৃত্বদের যোগদানে দলের শক্তি আরও বাড়বে। আরও অনেকেই দলে যোগদানের জন্যে আবেদন করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত এলেই দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। পুরসভা নির্বাচনের সময় এই যোগদান ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে।’
কিন্তু কেন আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন? এই বিষয়ে জয়দীপ নন্দী বলেন, ‘২২ মাস বিজেপিতে থাকলাম। কিন্তু তারপরও ওদের সংস্কৃতি ও কর্ম পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলান না। তাই পুরনো দলে ফিরে এলাম। আবার জয়ের জন্যে ঝাঁপাব।’ এই যোগদানের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপিও। যাতে আর ভাঙন না ধরে তার জন্য বৈঠকও করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একাধিক প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরকে দলে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আবার দুই প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এখনও তৃণমূল কংগ্রেস শিলিগুড়ি পুরবোর্ড দখল করতে মরিয়া। তবে পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটিতে ঠাঁই পাননি দুই প্রাক্তন জেলা সভাপতি গৌতম দেব এবং রঞ্জন সরকার।