সকালে স্বাভাবিক নিয়মে স্কুল হলেও রাত হলেই বসে যায় মদের আসর। নানা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে ওঠে স্কুলটি। এর ফলে প্রতিদিন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুল শিক্ষকদের। প্রতিদিন স্কুলে ঢুকেই মদের বোতল, গ্লাস সরাতে লেগে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। শুধু তাই নয়, স্কুলে একাধিক সময়ে চুরির অভিযোগও উঠেছে। স্কুলে যাতে সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে, সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘটনাটি ঘটছে পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আরতি গ্রামের আরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলটি ফাঁকা মাঠের ওপর অবস্থিত। সকাল ১০টা থেকে স্কুল শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। কিন্তু রাতের অন্ধকার নেমে এলেই নানা অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এখানে বসে মদ্যপান করে। নানা ধরনের নোংরামি চলে এই স্কুল বিল্ডিংয়ের মধ্যে। মদের বোতলের পাশাপাশি স্কুলের বিভিন্ন প্রান্তে কন্ডোমও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এর ফলে স্কুলের শিক্ষকরা যেমন অস্বস্তিতে পড়েছেন, তেমনি স্কুলের অভিভাবকরাও অভিযোগ জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে আসছে, যাতে স্কুলটিকে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এরফলে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে স্কুলটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম চৌধুরী অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। হুগলির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান শিল্পা নন্দী জানান, ‘আমরা এই বিষয়ে পাণ্ডুয়া থানাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের এটা শুরু হয়েছে। এই সব কাজকর্ম বন্ধের জন্য প্রয়োজন পাঁচিল। সেই পাঁচিল তৈরির কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। ’ পুলিশের অবশ্য অবশ্য রাতে স্কুল চত্বরে টহলদারি বাড়ানোর বিষয়টি বলা হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিতাভ ঘোষ জানান, প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।