বিয়ের পর থেকে বারবার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন স্বামী। কিন্তু, স্বামীর দাবি মতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে পারেননি স্ত্রী। এনিয়ে প্রথমে বচসা আর তারপরেই স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার সোনা খালি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত গৃহবধূর নাম তবাসুম খাতুন (২২)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শরিফুল মোল্লা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাখালির বাসিন্দা শরিফুলের সঙ্গে ঘুটিয়ারি শরীফের বাসিন্দা তবাসুমের বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। তাবাসুমের বাবা শেখ আজাদের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর থেকে জামাই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত। আমার মেয়েকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। টাকা আনতে না পারলেই তাকে মারধর করা হত।’ শরিফুলের বোন মাফুজা মোল্লাও দাদার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘দাদা বৌদিকে গালিগালাজ করত। আমাদের সামনে মারধর করত না তবে ঘরের ভেতরে মারধর করত।’
এই ঘটনার পরেই শরিফুলের বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে জানা যাচ্ছে, খুন করার পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় শরিফুল। এই ঘটনায় তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।