বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে বিজেপি সমর্থক আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তের জামিন নাকচ করল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সুভাষ বর্মন নামে ওই অভিযুক্তের জামিন নাকচ করেন।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচির জোড়পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথে ভোটের লাইন লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলি লাগে আনন্দ বর্মন নামে ১৮ বছর বয়সী এক যুবকের গায়ে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসেছিলেন আনন্দ বর্মন।
এর পর সেদিন বেলা বাড়লে একদল দুষ্কৃতী ওই বুথ দখল করতে আসে বলে অভিযোগ। তখন বুথ রক্ষা করতে CISF জওয়ানরা দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। CISFএর গুলিতে ৪ দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। তাদের নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল। এর পর জেলা পুলিশ CISF জওয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। ওদিকে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে নেমে ঘটনার দেড় বছর পর ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
সিবিআইএর চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত সুভাষ বর্মন কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
সিবিআইয়ের আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, ‘আনন্দ বর্মন হত্যা মামলায় সুভাষ বর্মন আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।’