শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নেমেও বিশেষ সুবিধা করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দল। নেপাল সফরের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ২০০ টপকে বিশাল ইনিংস গড়েও হারতে হল ক্যারিবিয়ানদের। অবশেষে বোঝা গেল, কেন নেপালের মতো তুলনায় দুর্বল দলের মোকাবিলায় তারকাখচিত স্কোয়াড পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।
ধারে ও ভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে বিস্তর পিছিয়ে নেপাল। তবে শনিবার সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে একবারের জন্যও ধরা পড়েনি সেই তফাৎ। বরং ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেলের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে নেপাল টেক্কা দেয় তারকাখচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলকে। সেই সুবাদে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শুরুতেই ১-০ লিড নিয়ে নেয় নেপাল।
কীর্তিপুরের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দল। ক্যাপ্টেন রোস্টন চেসের মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান সংগ্রহ করে। চেস ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৪৬ বলে ৭৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। রোস্টন ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
ওপেনার আলিক আথানাজে হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। খাতা খুলতে পারেননি জনসন চার্লস। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৩ রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৩৮ রান করেন কেসি কার্টি। নেপালের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন কমল আইরি, দীপেন্দ্র সিং আইরি, রোহিত পাউডেল ও অবিনাশ বোহারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঝুলিয়ে দেওয়া বিরাট টার্গেট তাড়া করতে নেমে নেপাল ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। তারা ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে নেপাল।
ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। টি-২০ ক্রিকেটে এটি পাউডেলের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষমেশ ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ১১২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রোহিত।
এছাড়া কুশল ভুর্তেল ১৬, কুশল মাল্লা ১৬ ও দীপেন্দ্র সিং আইরি ২৪ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলের হয়ে ম্যাথিউ ফোর্ড ও ওবেদ ম্যাককয় ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।