অনুব্রতর সম্পত্তির তল পেতে এবার বীরভূমের চালকলগুলির মালিকানা নিয়ে গবেষণা শুরু করল সিবিআই। বীরভূমের অন্তত ১ ডজন চালকল বকলমে অনুব্রতই চালান বলে খবর রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে। এর পরই জেলার চালকলগুলির আসল মালিক কে তা জানতে উঠে পড়ে লেগেছেন গোয়েন্দারা।
অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই তাঁর বাড়ির পিছনে কালিকাপুরে মেয়ে সুকন্যার নামে কেনা ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আর তার পরই উঠে এসেছিল বিস্ফোরক তথ্য। চালকলের পুরনো মালিকের ছেলে জানিয়েছিলেন, অনুব্রতর কাছে চালকল বিক্রি করতে কার্যত বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। এর পর অনুব্রতর ভগ্নিপতি কমলাকান্তের মালিকানাধীন শিব শম্ভূ রাইস মিলে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এখানেই থামতে নারাজ সিবিআই।
‘বোমা আছে’, বেনামি ফোনে চরম আতঙ্ক, দুবাইগামী বিমান থেকে নামানো হল ১৭০ জনকে
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বীরভূমের ৮০টি চালকলের মধ্যে অন্তত ১৫টিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে অনুব্রতর। সেকথা জানতে পেরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে থাকা চালকলগুলির মালিকানা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। সত্যিই তাঁরা চালকলের কারবার করেন কি না তা জানতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই চালকলগুলির অংশীদারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
গোয়েন্দাদের দাবি, খাতায় কলমে মালিক না হলেও বীরভূমের ১৫টি চালকলে অনুব্রতর অংশীদারিত্ব রয়েছে। সেখান থেকে মোটা টাকা আয় হত তার। বহু জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চালকল কার্যত দখল করেন অনুব্রত। লকডাউনের আগে পর্যন্ত বহাল তবিয়তে চলেছে সেই সব কারবার।