দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেও আসানসোল সংশোধনাগারে কাটাতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। আর তাঁর গ্রামের কালীপুজো করবে কে? কে পরাবে প্রতিমার গয়না? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর কালীপুজো নিয়ে বীরভূমে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেষ্টর কালীপুজো এবার হবে চাঁদা তুলে। কিন্তু মায়ের গায়ে গয়না পরানো হবে না। সেটা অবশ্য নিরাপত্তার কারণে।
ঠিক কী হতো কেষ্টর কালীপুজোতে? বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে যে পুজো হয়, সেটা কেষ্টর কালী পুজো হিসেবেই জানেন সবাই। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই পার্টি অফিসে সেই পুজো করে আসছেন তিনি। তাতে কোনও দিন ছেদ পড়েনি তাতে। এমনকী কালীপুজোয় নিজের হাতে মাকে গয়না পরাতেন অনুব্রত মণ্ডল। কালীপুজোয় এখানে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত থাকত। রাতে প্রায় কয়েক হাজার কর্মী–সমর্থক ও সাধারণ মানুষ কালীপুজোয় প্রসাদ খেতেন।
এখন ঠিক কী পরিস্থিতি? এই বছর পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই আলাদা। গরু পাচার মামলায় এখনও জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে কেমন করে হবে কালীপুজো? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে ঐতিহ্য মেনে দলের সকলে চাঁদা দিয়ে পুজো করবেন। এতদিন কালীপুজোয় অনুব্রত মণ্ডল কোনও চাঁদা তোলেননি। দলের কাউকে কোনও দায়িত্বও সেভাবে নিতে হয়নি। ২০১৮ সালে কালীপুজোয় সোনার গয়না ছিল ১৮০ ভরি, ২০১৯ সালে ২৬০ ভরি, ২০২০ সালে ৩৬০ ভরি। আর ২০২১ সালে ৫৭০ ভরি।
ঠিক কী বলছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি? জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বছরও মায়ের পুজো হবে। কালীপুজোর আয়োজনের জন্য দলের জেলা কমিটির সদস্য ও শাখা সংগঠন মিলিয়ে মোট ১৫০ জনের থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এবার কালীপুজোর বাজেট দেড় লাখ টাকা। আসলে এতদিন কেষ্টদা নিজেই এই পুজোর খরচ বহন করতেন। এবার আমরা সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে পুজো করছি। সাধারণ মানুষের প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনও আপত্তি থাকছে না। ভোগও খাওয়ানো হবে।’