চুরির সামগ্রী উদ্ধারে বড়সর সাফল্য পেল এনজেপি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাসে এলাকায় একাধিক চুরি হয়েছিল। তিনটি চুরির ঘটনা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়। এরপর পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্তে নামে। কারা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত তার সন্ধান পেতে সোর্স মারফৎ খবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। এরপর পুলিশ জানতে পারে একটি বিশেষ টিম এই কাজ করছে। তারা চুরি করে দিন কয়েকের জন্য বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছে। ফের অপারেশন করে গা ঢাকা দিচ্ছে। লোকাল কিছু এজেন্ট তাদের সহায়তা করছে বলে অভিযোগ। এরপরই এনজেপি এলাকায় নজরদারি শুরু করে পুলিশ।
সিপাহীপাড়া, খাটালবস্তি, ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনাস, হরিপুর, বাদলাগঞ্জ থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৭জন দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে কিছু সামগ্রীও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। চক্রের মূল পাণ্ডা দীপক সেনকে জেরা করে পুলিশ চুরি যাওয়া সামগ্রীর হদিশ পায়। তাদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই বাইক, ৮টি টিভি, ৪টি ল্যাপটপ, ৫টি গ্যাস সিলিন্ডার, ৪টি পাম্প, ১টি ক্যামেরা ও মন্দিরের চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করে।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসিপি ইস্ট জয় টুডু বলেন, পরপর কয়েকটি চুরি হয়েছিল স্থানীয় এলাকায়। প্রচুর চুরির সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা আগে থেকেই চুরির সঙ্গে যুক্ত। এদেরকে আমরা নজরদারির মধ্যেই রেখেছিলাম। এরা বাইরে থেকে এসে স্থানীয় চোরেদের নিয়ে অপারেশন করাত। এনজেপিএ এলাকায় এরা ঘোরাফেরা করার সময় এদের গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্তের নাম দীপক সেন। এনজেপি থানা এলাকাতেই তার বাড়ি।