তপন কান্দু খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ। সেই মতো গতকাল ঝালদায় পৌঁছে যায় সিবিআই তদন্তকারীরা। আর ঝালদায় সিবিআই পৌঁছতেই রাজ্য সরকার কড়া নাড়তে চলেছে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে আজই।
বুধবার রাতে ঝালদা থানায় পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর কেস ডায়েরি ও অন্যান্য নথি হেফাজতে নেন তাঁরা। আজ থেকেই পুরোদমে এই মামলার তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আসানসোল থেকে ঝালদা থানায় পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা কথা বলেন এসডিপিও অরুণাভ দাসের সঙ্গে। রাজ্য পুলিশের সিট-এর নেতৃত্বে ছিলেন তিনিই। এর পর কেস ডায়েরি ও অন্যান্য নথি হেফাজতে নেন তাঁরা। এদিন তপন কান্দু খুনে নতুন একটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
এদিকে তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বুধবার সকালে। পুলিশ দাবি করেছে যে নিরঞ্জনের দেহের পাশ থেকে নাকি একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় নিরঞ্জনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের তরফে দাবি করা হয়েছে যে মানসিক চাপের থেকেই নিরঞ্জন এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। সিবিআই আধিকারিকরা ঝালদায় পৌঁছানোর আগে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, ‘তপন কান্দুর পর এটা আরও একটা খুন। শুধু তাই নয়, এরপর তপন কান্দুর স্ত্রীকেও খুন করা হতে পারে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে।’